অধিকাংশ নারী সাধারণত ঘরেই নামাজ আদায় করেন। কেউ
নিজের কক্ষে নির্দিষ্ট একটি জায়গা বেছে নেন, আবার কেউ ঘরের কোনো শান্ত কোণে নামাজ পড়েন। অনেক নারীর ঘরে ছোট্ট একটি স্থায়ী নামাজের স্থানও থাকে।
এদিকে দেশের কিছু মসজিদে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্য আলাদা ব্যাবস্থাও রাখা হয়েছে। উপযুক্ত পরিবেশ থাকলে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে কিছু নারী সেখানে গিয়ে জামাতে অংশ নেন।
মসজিদে নারীদের জন্য আলাদা জায়গা থাকলে
যদি কোনো মসজিদে নারীদের জন্য নির্দিষ্ট নামাজের স্থান থাকে, তাহলে সেখানে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় নারীরাও পুরুষদের মতোই মসজিদে প্রবেশের দোয়া পড়তে পারবেন। তাছাড়া মসজিদে প্রবেশ করলে তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়ার বিধানও তাদের জন্য প্রযোজ্য।
ঘরের আলাদা নামাজের স্থানের বিধান
ফিকহশাস্ত্রবিদদের মতে, কোনো নারী নিজের ঘরে ইবাদতের জন্য আলাদা স্থায়ী জায়গা নির্ধারণ করলে সেটাকে তার জন্য মসজিদের মতোই গণ্য করা যেতে পারে। অর্থাৎ—
সেই স্থানে ঢোকার সময় তিনি চাইলে মসজিদে প্রবেশের দোয়া পড়তে পারবেন,
এবং দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করলেও সওয়াবের আশা করা যায়।
(ফতোয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৮৮)
মসজিদে প্রবেশের দোয়া
হাদিসে এসেছে, মসজিদে ঢোকার সময় প্রথমে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর ওপর দরুদ পাঠ করতে বলা হয়েছে, এরপর প্রবেশের দোয়াটি পড়তে বলা হয়েছে।
(আবু দাউদ, হাদিস ৪৬৬)
দোয়া:
اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাফতাহ্ লি আবওয়াবা রহমাতিক।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাগুলো উন্মুক্ত করে দিন।
তাহিয়্যাতুল মসজিদের গুরুত্ব
আবু কাতাদা (রা.)–এর বর্ণনা অনুযায়ী, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—
মসজিদে প্রবেশ করলে বসার আগে দুই রাকাত নফল (তাহিয়্যাতুল মসজিদ) আদায় করা উচিত।
(মুসলিম, হাদিস ১৫২৭)
এসআর
মন্তব্য করুন: