আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ও
বেছে নেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে। এই সুযোগের মাধ্যমে মানুষ চাইলে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী ন্যায়, সত্য ও সৎপথে চলতে পারে। সে চাইলে নিজের জীবনকে সুন্দর করতে পারে এবং দুনিয়া–আখেরাত উভয় ক্ষেত্রেই সফল হতে পারে।
অন্যদিকে, একই স্বাধীনতা মানুষ অপব্যবহারও করতে পারে। কেউ যদি আল্লাহর দেখানো পথ থেকে সরে গিয়ে জুলুম, অন্যায় ও অত্যাচারের দিকে ঝুঁকে পড়ে, তবে সে জালেমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। এই পৃথিবী মানুষের পরীক্ষা নেওয়ার জায়গা—তাই আল্লাহ মানুষকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন।
মানুষ যে পথ বেছে নেয়, তার প্রতিদান সে পাবে। যারা ন্যায়, সত্য ও কল্যাণের পথে চলে, আল্লাহ তাদের উত্তম পুরস্কার দেবেন। আর যারা অন্যায় করে, মানুষের অধিকার লঙ্ঘন করে এবং জুলুমে লিপ্ত হয়, তাদের জন্য অপেক্ষা করছে কঠোর শাস্তি।
---
কোরআনে জালিমদের শাস্তি সম্পর্কে বর্ণনা
সুরা কাহাফ (আয়াত ২৯)–এ আল্লাহ বলেন, জালিমদের জন্য জাহান্নাম প্রস্তুত। তাদের চারপাশ থেকে আগুন পরিবেষ্টন করবে। তারা পানীয় চাইলে পাবে গলিত ধাতুর মতো উত্তপ্ত তরল, যা তাদের মুখ ঝলসে দেবে। এটি অত্যন্ত নিকৃষ্ট পানীয় এবং জাহান্নামও অত্যন্ত ভয়াবহ আশ্রয়স্থল।
সুরা শুআরা (আয়াত ২২৭)–এ আল্লাহ সতর্ক করে বলেন, অত্যাচারীরা খুব শিগগির বুঝে যাবে তাদের চূড়ান্ত গন্তব্য কোথায়।
অনেক সময় দেখা যায়, জালিমরা দুনিয়ায় অন্যায়ের পথে বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং মনে হয় তাদের থামানোর কেউ নেই। কিন্তু কোরআন বলে, এটি সাময়িক। আল্লাহ তাদেরকে সুযোগ দেন কিয়ামত পর্যন্ত—যাতে তারা নিজেদের কর্মফল নিয়ে সামনে দাঁড়ায়।
সুরা ইবরাহিম (আয়াত ৪২–৪৩)–এ আল্লাহ বলেন, জালিমরা যা করছে—আল্লাহ তাতে অজ্ঞ নন। তিনি শুধু তাদেরকে সময় দিচ্ছেন সেই দিনের জন্য, যখন দুশ্চিন্তায় তাদের চোখ স্থির হয়ে যাবে। তারা ভয়ে দৌড়াদৌড়ি করবে, আকাশের দিকে তাকাবে, তাদের দৃষ্টি ফেরার শক্তি থাকবে না এবং তাদের অন্তর শূন্য হয়ে যাবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: