[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫
২৫ পৌষ ১৪৩১

বায়তুল মোকাররমের অপসারিত খতিব রুহুল আমিনের বিচার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৪৫ পিএম

বায়তুল মোকাররমে সাধারণ মুসল্লিদের ওপর মুফতি রুহুল আমিনের অনুসারীদের হামলার দৃশ্য। ইনসেটে রুহুল আমিন

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

তবে শুধু অপসারণ নয়, তাকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনরা। 

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত চলে যান। এরপর রাজনীতিবিদদের মতো আত্মগোপনে চলে যায় দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অনেক মানুষ।

যাদের একজন ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি আর মসজিদে নামাজ পড়াতে আসেননি।

এরপর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নতুন খতিব হিসেবে নিয়োগ পান হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান আজহারী। 

দেড় মাস আত্মগোপনে থাকার পর গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) তার অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আসেন মুফতি রুহুল আমিন। এ সময় জোরপূর্বক জুমা নামাজ পড়াতে গেলে মুসল্লিদের বাধার মুখে পড়েন তিনি।

এ সময় রুহুল আমিনের অনুসারীদের সঙ্গে সাধারণ মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। মসজিদের কয়েকটি দরজা ভাঙচুর করা হয়।

একপর্যায়ে দলবল নিয়ে পালিয়ে যান স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে কওমি জননী স্বীকৃতিদাতা মুফতি রুহুল আমিন। 

মসজিদের মতো পবিত্র জায়গায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া রুহুল আমিনের এমন কাণ্ডে সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

এরই ধারবাহিকতায় রোববার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিবের পদ থেকে তাকে অপসারণ করে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। 

এদিকে রুহুল আমিনকে অপসারণের খবরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। অনেকেই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তবে শুধু  অপসারণে খুশি নন নেটিজেনবাসী। তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা। 

ফখরুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, মসজিদে সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করার জন্য দ্রুত রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করুন।

রতন ভুঁইয়া লিখেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে এর চাইতে ভণ্ড হুজুর ছাড়া আর কিছু আশা করা যায় না। 

মিলিয়া মিলি লিখেছেন, শুধু অপসারণ করলে হবে না, গ্রেফতার করতে হবে। এই লোকের শাস্তি দাবি করছি। আওয়ামী লীগের এই দালালকে গ্রেফতার দেখতে চাই।

এমএইচ হোসাইন লিখেছেন, শুধু অপসারণ করলেই হবে না, আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করেন।

মো. রফিকুল ইসলাম লিখেছেন, শুধু অপসারণ করলেই হবে না, এই ন্যক্কারজনক কাজের জন্য উনাকে বিচারের আওতায় আনা হোক।

কেএম বনি আমিন খান লিখেছেন, তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হোক। 

সায়েদ মহিবুল্লাহ লিখেছেন, অপসারণের সিদ্ধান্ত অনেকে দেরিতে হলো। তবে শুধু অপসারণ যথেষ্ট নয়।

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী গং কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দালাল এই ইমামকে আল্লাহর ঘর মসজিদে ফ্যাসাদ সৃষ্টির দায়ে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি করা সমীচীন হয়।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর