শুক্রবার গরীরের জন্য হজের দিন।
আসুন জেনে নেই আমলসমূহ-
-
গোসল করা (জুমার গোসল)
- হাদিসে এসেছে, জুমার দিনে গোসল করা সুন্নত এবং ফজিলতপূর্ণ।
- রাসুল (সা.) বলেন:
“তোমাদের প্রত্যেকের জন্য জুমার দিনে গোসল করা ও উত্তমভাবে পবিত্রতা অর্জন করা ওয়াজিব।”
(বুখারি, মুসলিম)
-
পরিচ্ছন্ন ও উত্তম পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা
- পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বজায় রাখা জুমার আদবের অংশ।
-
জুমার নামাজে আগেভাগে গিয়ে খুতবা শোনা
- হাদিসে আছে, যত আগে কেউ মসজিদে যায়, তত বেশি সাওয়াব পায় (বুখারি)।
-
সুরা কাহফ পাঠ করা
- রাসুল (সা.) বলেন:
“যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে, তার জন্য দুই জুমার মাঝে একটি নূর আলোকিত থাকবে।”
(হাকিম, মিশকাত)
-
দরুদ শরিফ বেশি বেশি পাঠ করা
- রাসুল (সা.) বলেন:
“জুমার দিন তোমরা আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো।”
(আবু দাউদ)
-
আল্লাহর জিকির ও তাসবিহ বেশি বেশি করা
- যেমন: সুভানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি।
-
জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ (পুরুষদের জন্য)
- জুমার নামাজ হচ্ছে সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ congregational ইবাদত।
-
জুমার দিন বিশেষ দোয়ার সময় (ইস্তিজাবাহর সময়)
- হাদিসে আছে,
“জুমার দিনে একটি সময় আছে, তাতে কোনো বান্দা দোয়া করলে তা অবশ্যই কবুল হয়।”
(বুখারি, মুসলিম)
- অনেক আলেম বলেন, এটি আসরের পর থেকে মাগরিবের আগের সময়।
-
সালাতুল দুহা (সকাল বেলা নফল নামাজ) আদায় করা
- জুমার দিনেও সকাল বেলা ২ বা ৪ রাকাত দোহা নামাজ আদায় করা ফজিলতপূর্ণ।
-
মৃত মুসলিমদের জন্য দোয়া ও কবর জিয়ারত (যদি সম্ভব হয়)
- হাদিসে আছে, জুমার দিন ও রাতে কবর জিয়ারত করলে মৃতরা উপকৃত হন।
মন্তব্য করুন: