[email protected] মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
৮ বৈশাখ ১৪৩২

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২৫ ৪:৩৬ এএম

ফাইল ছবি

রাত যখন নিঃস্তব্ধ, মানুষ গভীর ঘুমে নিমগ্ন, তখনই একদল সৌভাগ্যবান মুসল্লি বিছানা ত্যাগ করে দাঁড়িয়ে যান মহান প্রভুর দরবারে।

তাহাজ্জুদ নামাজ তাদের আত্মিক পরিশুদ্ধি ও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের অন্যতম মাধ্যম।

এই নামাজ আদায় করা হয় সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত। যদি কেউ রাতের শেষ প্রহরে জেগে উঠতে না পারেন, তবে এশার নামাজের পর এবং বিতরের আগে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা যায়। যদিও রাতের শেষাংশে তা আদায় করলে সওয়াব অনেক বেশি।

তাহাজ্জুদের মাধ্যমে একজন বান্দার সঙ্গে আল্লাহর গভীর আত্মিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এ সময় আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে এসে বান্দাদের উদ্দেশে আহ্বান জানান—
“কে আছে যে আমার কাছে দোয়া করবে, আমি তার দোয়া কবুল করব? কে আছে যে আমার কাছে কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দিব? আর কে আছে যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব?”
(সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)

এভাবে আল্লাহর সরাসরি আহ্বান যেখানে রয়েছে, সেখানে বান্দার প্রার্থনা কবুল হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে সর্বোচ্চ।

তাহাজ্জুদের আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি গোপন ইবাদত। দিনের নামাজ যেমন প্রকাশ্য সদকার মতো, তেমনি তাহাজ্জুদ নামাজ গোপন সদকার মর্যাদা রাখে। এটি আত্মাকে শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা করে এবং মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। শত্রুর ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যও এটি অত্যন্ত কার্যকর।

তাহাজ্জুদের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেই নিয়মিত এই নামাজ আদায় করতেন।

সূরা মুজ্জাম্মিলের শুরুতেই আল্লাহ তাঁকে রাত জেগে নামাজ পড়ার আদেশ দেন, যা নবুয়তের প্রস্তুতির অংশ ছিল।

এ নামাজ কোরআন তিলাওয়াতের জন্যও সবচেয়ে উপযোগী সময় হিসেবে বিবেচিত।

রাত ২টা থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত সময়কে তাহাজ্জুদের জন্য নির্ধারিত সময় বলা হয়। এই পুণ্যতুল্য সময়ে ইবাদত করে একজন মুমিন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পাশাপাশি আত্মার উন্নয়ন ঘটাতে পারেন। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর