তাহাজ্জুদ নামাজ হলো মুমিনের আত্মশুদ্ধির অন্যতম মাধ্যম।
১. পাপ মোচনের মাধ্যম
হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, ‘তোমরা কিয়ামুল লাইলের প্রতি যত্নবান হও। এটি তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের অভ্যাস ছিল এবং এটি রবের নৈকট্য লাভের মাধ্যম। এছাড়াও এটি পাপ মোচনকারী ও গুনাহ থেকে বিরত রাখার উপায়।’ (তিরমিজি: ৩৫৪৯)
২. দোয়া কবুল হয়
নবী (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছো যে দোয়া করবে, আমি তা কবুল করব? কে আছো যে আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করব? কে আছো যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব?’ (বুখারি: ১১৪৫)
৩. মর্যাদা বৃদ্ধি পায়
নবী (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের মর্যাদা কিয়ামুল লাইল তথা তাহাজ্জুদ নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতের মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, মানুষের মুখাপেক্ষী না হওয়াই তার সম্মানের অন্যতম কারণ।’ (তবরানি: ৪২৭৮)
৪. জান্নাতের প্রতিশ্রুতি
নবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে এমন কিছু প্রাসাদ রয়েছে, যেগুলোর বাইরের অংশ ভেতর থেকে দেখা যায় এবং ভেতরের অংশ বাইরে থেকে দেখা যায়। আল্লাহ তা প্রস্তুত করেছেন তাদের জন্য, যারা মানুষকে আহার করায়, কোমল ভাষায় কথা বলে, ধারাবাহিকভাবে রোজা রাখে, সালামের প্রসার ঘটায় এবং রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তাহাজ্জুদ নামাজে দাঁড়িয়ে যায়।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২২৯০৫)
তাহাজ্জুদ নামাজ মুমিনের আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটায়, গুনাহ মোচন করে এবং জান্নাতের পথে চলতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই ইবাদত পালন করলে আল্লাহর অসীম রহমত ও নৈকট্য লাভ করা সম্ভব।
এসআর
মন্তব্য করুন: