শান্তি, শৃঙ্খলা, রহমত, নাজাত ও মাগফিরাতের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে আবারও ফিরে এসেছে মহিমান্বিত রমজান মাস।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন—
"হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপরও ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।"
(সূরা বাকারা: ১৮৩)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন—
"যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে এবং তারাবির নামাজ পড়ে, তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।"
(বুখারি শরিফ: হাদিস নং ১৯০১)
রোজাদারের জন্য সেহরি খাওয়া ও ইফতার করা সুন্নাত। কোনো বিশেষ খাবার না থাকলেও, সামান্য খাদ্য বা শুধু পানি পান করলেও ইফতারের সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে।
ইফতার খেজুর দ্বারা করা সুন্নাত, তা না পেলে পানি দ্বারা ইফতার করা উত্তম। তবে অপচয় ও লোক দেখানো আয়োজন থেকে বিরত থাকা উচিত।
ইফতারের কিছুক্ষণ পূর্বে বেশি বেশি পড়ার জন্য:
يَا وَاسِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْ لِيْ
উচ্চারণ: ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতি, ইগফিরলী।
অর্থ: হে মহান ক্ষমাশীল! আমাকে ক্ষমা করুন। (শু‘আবুল ঈমান: ৩/৪০৭)
بِسْمِ اللهِ وَعَلى بَرَكَةِ اللهِ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ওয়া ‘আলা বারাকাতিল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহর নামে এবং আল্লাহর বরকতের সাথে ইফতার করছি।
১.
اَللّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়ালা রিজকিকা আফতারতু।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করলাম। (আবু দাউদ: ১/৩২২)
২.
ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْـتَلَّتِ العُرُوْقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ الله تَعَالَى
উচ্চারণ: যাহাবাযযমা ওয়াবতাল্লাতিল উরুকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহু তাআলা।
অর্থ: পিপাসা দূর হয়েছে, ধমনী সতেজ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ রোজার সওয়াব নিশ্চিত হয়েছে। (আবু দাউদ: ১/৩২১)
اَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ
উচ্চারণ: আফতারা ইনদাকুমুস সায়িমুন ওয়া আকালা তাআমুকুমুল আবরার ওয়া সাল্লাত আলাইকুমুল মালাইকা।
অর্থ: আল্লাহ করুন যেন রোজাদারগণ তোমাদের বাড়িতে ইফতার করে, নেক লোকেরা তোমাদের খাবার গ্রহণ করে এবং ফেরেশতাগণ তোমাদের জন্য দোয়া করে। (আস-সুনানুল কুবরা, নাসাঈ: ৬/৮১)
ইফতার শুধু খাদ্য গ্রহণের বিষয় নয়, এটি এক মহিমান্বিত মুহূর্ত, যেখানে রোজাদার আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই ইফতারের সময় দোয়া ও আল্লাহর রহমত লাভের জন্য বেশি করে ইবাদত করা উচিত।
এসআর
মন্তব্য করুন: