আজ শুক্রবার। পবিত্র শবে বরাত, সৌভাগ্যের এই রজনীতে ইবাদতে মশগুল থাকবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখের রাতকে ‘শবে বরাত’ বা ‘লাইলাতুল বরাত’ বলা হয়, যা মুসলমানদের কাছে সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পরিচিত।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, "এই মহিমান্বিত রাতে মহান আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন, গুনাহ মাফ করেন এবং দোয়া কবুল করেন।
তাই, ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে এই রাতের ফজিলত অর্জন করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
শবে বরাতের মাহাত্ম্য ও করণীয় বিষয়ে তিনি আরও বলেন, "আসুন, আমরা সবাই পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও মানবিকতা বজায় রাখি।
অন্যায় ও অনাচার থেকে দূরে থেকে ইসলামের সুমহান আদর্শ অনুসরণ করি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করি।"
শবে বরাত উপলক্ষে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও নফল নামাজ আদায়ের আয়োজন করা হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দিনব্যাপী বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা শবে বরাতের রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মাধ্যমে ইবাদতে মশগুল থাকবেন। অনেকে আত্মীয়-স্বজন ও প্রয়াত আত্মীয়দের কবর জিয়ারত করবেন এবং দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করবেন।
শবে বরাত উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ছুটি থাকবে।
আসুন, আমরা এই পবিত্র রাতে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যাতে তিনি আমাদের গুনাহ মাফ করে দেন, রহমত ও বরকত দান করেন এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: