[email protected] শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

শবে বরাতে যে আমল করবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১:৩১ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১:৩৪ পিএম

প্রতীকি ছবি

শবে বরাত মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত।

এ রাতে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও ইস্তিগফার করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে।

পাশাপাশি, পরদিন রোজা রাখাও সুন্নত হিসেবে গণ্য করা হয়।

হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “পনেরো শাবানের রাত যখন আসে, তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখো।” (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৪)

এ রাতের আমলগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • নফল নামাজ
  • কোরআন তিলাওয়াত
  • দোয়া ও ইস্তিগফার
  • দরিদ্রদের সাহায্য করা, দান-সদকা করা
  • আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা

পরদিন রোজা রাখার ক্ষেত্রে আইয়ামে বিজের (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ) রোজার সঙ্গে মিলিয়ে রাখা উত্তম। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, “যখন মাসের মধ্যে তিন দিন রোজা রাখবে, তবে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখবে।” (তিরমিজি, নাসায়ি, মিশকাত)

শবে বরাতের নামাজ ও সতর্কতা

এ রাতে নফল নামাজ পড়া উত্তম হলেও, শবে বরাতের জন্য নির্দিষ্ট কোনো নামাজের নিয়ম বা নিয়ত নেই। সাধারণ নফল নামাজের মতোই স্বাভাবিকভাবে নামাজ আদায় করতে হবে।

রাসূল (সা.) এবং সাহাবিরা নির্দিষ্ট কোনো নিয়মে শবে বরাতের নামাজ পড়ার নির্দেশনা দেননি। তাই, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো আমল বা নামাজের পদ্ধতি নির্ধারণ করলে তা বিদআতের অন্তর্ভুক্ত হবে।

রাসূল (সা.) বলেছেন, “দীনের মধ্যে নব-উদ্ভাবিত সবকিছু বিদআত, আর প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা।” (মুসলিম, হাদিস: ১৫৩৫; নাসায়ি, হাদিস: ১৫৬০)

সুতরাং, শবে বরাতের রাতে ইবাদতে মনোযোগী হওয়া, কোরআন তিলাওয়াত, তওবা-ইস্তিগফার ও দান-সদকা করা উত্তম আমল। তবে কোনো নির্দিষ্ট রীতি বা নতুন নিয়ম সাব্যস্ত না করে সুন্নাহ মোতাবেক ইবাদত করাই সর্বোত্তম।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর