বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
ঘটনাটি সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে টঙ্গী স্টেশন রোডের ফ্লাইওভারের পাশে ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একাধিক ড্রোন নিচে পড়ে শব্দ হলে মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা দ্রুত স্থান ত্যাগের চেষ্টা করেন।
গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জের বাহাদুর সাদী ইউনিয়নের জুগলি গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, "আমার সামনে হঠাৎ তিনটি ড্রোন পড়ে গিয়ে বাঁশের সঙ্গে লেগে শব্দ হয়। এতে আশপাশের সবাই ভয় পেয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে।"
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত কর্মকর্তা এএসআই বেলায়েত হোসেন জানান, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন—আবুল কালাম (৫৫), আলামিন (৩২), আজাদ (৩০), ওবায়দুল্লাহ (৩২), রাতুল (১৮), আব্দুল করিম (২৮), সাইফুল ইসলাম (৩৮), জাফর উদ্দিন (৩১), জয়নাল (২৪), মকবুল হোসেন (৬৪), মোশারফ (৩০), কোরবান আলী (২৫) প্রমুখ।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, "প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ায় একটি ড্রোন মাটিতে পড়ে যায়। শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং হুড়োহুড়ির ফলে বহু মানুষ আহত হন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।"
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) এন এম নাসিরুদ্দিন বলেন, "কামারপাড়া সড়কে একটি ড্রোন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়, যা দেখে সহজ-সরল মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।"
এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতা গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আশ্বাস দিয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: