[email protected] শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
২৭ পৌষ ১৪৩১

নবীজির মুজেযা: যখন কথা বলল ভুনা গোশত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২৪ ৪:৫৭ পিএম

ফাইল ছবি

একবার এমন একটি ঘটনা ঘটে, যা মানুষের কল্পনাকেও হার মানায়।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে একটি ভুনা গোশতের টুকরা কথা বলে ওঠে। এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়; বরং এটি ছিল নবীজির একটি বিস্ময়কর মুজেযা।

এক ইহুদি নারী নবীজির প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে তার কাছে ভুনা গোশত পাঠায়, কিন্তু তার ভেতরে মিশিয়ে দেয় বিষ। তার ইচ্ছা ছিল নবীজি (সা.) এর ক্ষতি করা।

ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, অনেক ইহুদিই বিভিন্ন নবীদের সাথে শত্রুতা করেছে; মূসা ও ঈসা আলাইহিস সালামের সঙ্গেও ইহুদিরা এমন শত্রুভাব পোষণ করেছিল।

এদিকে, নবীজির তো এই বিষের কথা জানা ছিল না, কারণ আল্লাহ ছাড়া গায়েব বা অদৃশ্য বিষয় কেউ জানে না। নবীজি (সা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে যতটুকু জানানো হতো, শুধু ততটুকুই জানতেন।

নবীজি ও তার কয়েকজন সাহাবী সেই ভুনা গোশত খাওয়ার সময় হঠাৎ তিনি সতর্ক করলেন, “সবাই থামো, এই গোশত থেকে আর কেউ খাবে না!” সাহাবীরা হতবাক হলেন। তখন নবীজি বললেন, “এই গোশতই আমাকে জানিয়েছে যে এতে বিষ মেশানো রয়েছে।”

এ ঘটনার পর, ওই বিষাক্ত গোশত খাওয়ার ফলে এক সাহাবী ইন্তেকাল করেন। এতে নবীজি কষ্ট পান। কিন্তু আল্লাহর রহমতে নবীজি সুরক্ষিত থাকেন এবং কোনো ক্ষতি হয় না।

পরে নবীজি সেই ইহুদি নারীকে ডেকে পাঠান এবং জানতে চান কেন সে বিষ মেশিয়েছে।

ইহুদি নারী উত্তরে বলে, “আপনি যদি সত্য নবী হন, তবে এই বিষ আপনার ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি আপনি সাধারণ রাজা-বাদশা হন, তবে মানুষের কষ্ট কমবে।” নবীজি তার কথা শুনে বিষয়টি প্রকাশ করেন।

এই মুজেযা নবীজির সত্যতা এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে প্রদত্ত সুরক্ষার প্রমাণ দেয়। এটি মুমিনদের ঈমানকে আরও মজবুত করে এবং কাফিরদের সামনে ইসলামের সত্যতা প্রকাশ করে।

সূত্র: সুনানে আবু দাউদ (হাদীস ৪৫১২), মুসতাদরাকে হাকেম (হাদীস ৪৯৬৭), সুনানে কুবরা বায়হাকী (হাদিস ১৬০১০)।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর