অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলতি বছর হজযাত্রায় খরচ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
তবে টাকার বিপরীতে সৌদি রিয়ালের মুদ্রামূল্য বৃদ্ধির কারণে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে খরচ কমছে না।
হজযাত্রীদের জন্য এবার দুই ধরনের প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। এর মধ্যে মসজিদুল হারামের এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে থাকা একটি প্যাকেজে খরচ গত বছরের তুলনায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা কম হতে পারে।
অন্যটি আজিজিয়া এলাকায় (হেরেম শরিফ থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে) থাকা প্যাকেজ, যেখানে খরচ প্রায় এক লাখ টাকা পর্যন্ত কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এবার সমুদ্রপথ বা বিশেষ কোনো ভিন্ন প্যাকেজের ব্যবস্থা থাকছে না।
আজ বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির বৈঠক হবে। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।
সেখান থেকেই আগামী বছরের হজ প্যাকেজের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।
হজযাত্রীদের জন্য বিমানভাড়া কমানো এবং ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফের মাধ্যমে খরচ কমানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার বলেন, “বিমানভাড়া ছাড়া হজের খরচ কমানোর খুব বেশি সুযোগ নেই। ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচ কাঙ্ক্ষিতভাবে কমানো যাচ্ছে না। গত বছর রিয়ালের দাম ছিল ২৯ টাকা; এবার তা বেড়ে ৩২ টাকায় পৌঁছেছে, যা খরচ বাড়ানোর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে হেরেম শরিফের কাছের প্যাকেজে খরচ সাড়ে ৫ লাখ টাকার মধ্যে এবং অন্য প্যাকেজে ৪ লাখ ৬০-৭০ হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে।”
২০২৪ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা এবং বেসরকারিভাবে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা ছিল।
বিশেষ প্যাকেজের খরচ ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ থেকে ৯ লাখ টাকার মধ্যে।
আগামী বছরের হজের জন্য বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে।
এসআর
মন্তব্য করুন: