আল্লাহ হাদিসে কুদসিতে বলেন, আমি আল্লাহ ততক্ষণ বান্দার খুব কাছে থাকি, যখন সে ঠোট নাড়িয়ে আমার জিকির করে। [আহমদ]
অন্যত্র রাসুল (স) বলেন, রোজার মাস ইবাদতের বসন্তকাল। জিকির ও ধ্যানে কাটানোর মাস। গোনাহ থেকে পবিত্র হয়ে মন সজীব রাখার মাস। রাসুল (স) বলেন, যে ব্যক্তি জিকিরের মাধ্যমে জিহ্বাকে তাজা রাখবে, কেয়ামতের মাঠে হাসতে হাসতে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [বায়হাকি-৬০৪৫]
আল্লাহ হাদিসে কুদসিতে বলেন, আমি আল্লাহ ততক্ষণ বান্দার খুব কাছে থাকি, যখন সে ঠোট নাড়িয়ে আমার জিকির করে। [আহমদ]
দায়লামি শরিফে হজরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে বর্ণিত- কেয়ামতের মাঠে আল্লাহ কোনো এক গাছের দিকে ইঙ্গিত করে বলবেন, আমার ওই সকল বান্দাদেরকে প্রেমময় ছন্দ-সুরে মুগ্ধ করো, যারা পৃথিবীতে আমার জিকিরে মগ্ন হয়ে গান-বাদ্য থেকে দূরে রয়েছে। আজ জিকিরকারীরা এমন সুর তরঙ্গে নেচে উঠবেন, পৃথিবীতে কোনো প্রাণী কোনো দিন তা অনুভব করেনি।
পুরো রোজার মাসে মুমিন বান্দা জিকিরের রুটিন করে নেবেন। সুযোগ সন্ধানে থাকবেন জিকিরের। আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা অধিক হারে আল্লাহর জিকির করো। সকাল-সন্ধ্যায় আমার তাসবিহ পাঠ করো। [আহযাব : ৪১-৪২]
কোন জিকির আল্লাহর কাছে প্রিয়, আমরা কোন জিকির বেশি করে পাঠ করব : সাহাবি সামুরাহ ইবনে জুন্দুল (রা) বলেন, রাসুল (স) বলেছেন- সুবহানাল্লাহ, আল হামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবার। এই চারটি জিকির আল্লাহর কাছে অধিকতর পছন্দের। [বোখারী-৬৩০২)
এ ছাড়াও হাদিসে আয়াতুল কুরসি, সাইয়েদুল ইস্তেগফার, সোবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সোবহানাল্লাহিল আজিম ইত্যাদির কথা আছে। ইবাদতের এই মৌসুমে আমরা আল্লাহর জিকিরে মন সজীব রাখি। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন।
শিক্ষক: শেখ জনূরুদ্দীন রহ. দারুল কুরআন মাদরাসা, চৌধুরীপাড়া ঢাকা।
এসআর
মন্তব্য করুন: