সিরিজে টিকে থাকতে হলে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না ভারতের সামনে। এমন চাপের মুহূর্তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভাল টেস্টে মাঠে নামে গৌতম গম্ভীরের দল।
কিন্তু প্রথম ইনিংসেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। গাস অ্যাটকিনসনের গতিময় বোলিংয়ে ভারত গুটিয়ে যায় মাত্র ২২৪ রানে। ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন করুন নায়ার। অ্যাটকিনসন শিকার করেন ৫ উইকেট, আর ৩ উইকেট নেন জশ টাঙ্গুই।
জবাবে ইংল্যান্ডও সুবিধা করতে পারেনি। মোহাম্মদ সিরাজ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার গতি সামলাতে না পেরে তারা অলআউট হয় ২৪৭ রানে। জ্যাক ক্রলি করেন সর্বোচ্চ ৬৪ রান, হ্যারি ব্রুক করেন ৫৩। সিরাজ ও প্রসিদ্ধ ৪টি করে উইকেট ভাগ করে নেন।
২৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ভারত। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে, দলীয় ৭০ রানে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে সাঁই সুদর্শন আউট হলে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাট হাতে নামেন আকাশদীপ। এবং এ যাত্রায় রীতিমতো বাজিমাত করেন তিনি।
জশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১০৭ রানের দৃঢ় জুটি। দলীয় ১৭৭ রানে আউট হওয়ার আগে ৯৪ বল খেলে ১২টি বাউন্ডারির সাহায্যে আকাশদীপ করেন ৬৬ রান—নাইটওয়াচম্যান হিসেবে যা এক দুর্দান্ত ইনিংস এবং বিরল কীর্তি।
২০০০ সালের পর থেকে ভারতের হয়ে ৪ নম্বরে নামা মাত্র চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আকাশদীপ গড়েছেন ৫০ রানের বেশি করার নজির। তার আগে এই তালিকায় ছিলেন কেবল শচীন টেন্ডুলকার, বিরাট কোহলি এবং শুভমান গিল।
এর আগে ইংল্যান্ড সফরের এজবাস্টন টেস্টেও খেলেছিলেন আকাশদীপ। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরস্কারস্বরূপ ওভাল টেস্টেও জায়গা পান একাদশে। এবারে পারফরম্যান্স দিয়ে আকাশদীপ নিজের নাম তুলে নিলেন একটি বিশেষ তালিকায়—ভারতের হয়ে বিদেশের মাটিতে টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৫০+ রানের ইনিংস খেলা মাত্র তৃতীয় ক্রিকেটার তিনি। এর আগে এমন কীর্তি গড়েছেন কেবল ইরফান পাঠান ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
একাধারে বোলিং-ব্যাটিংয়ে এই নজরকাড়া পারফরম্যান্স ভারতের এই তরুণ অলরাউন্ডারকে ভবিষ্যতের বড় তারকা হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: