তাসকিনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ, পেসারের দাবি—সবই মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে মারধর ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী ব্যক্তি রবিবার (২৮ জুলাই) রাতে মিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তাসকিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ফোনে ডেকে নিয়ে এক যুবককে মারধর করেন এবং হুমকি দেন।
তবে সব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন তাসকিন। দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তাসকিন বলেন, “অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভুয়া জিডি করে আমাকে হেয় করার চেষ্টা চলছে।”
তাসকিন আরও বলেন, “আমি এখন ব্যস্ত সময় পার করছি বাসা পরিবর্তন নিয়ে। ওদের আমি মারিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
অভিযোগের পেছনের ঘটনা: তাসকিন বলেন, “আমার বন্ধু রসি নামে একজন আছেন। অভিযোগকারী পক্ষ আমার সেই বন্ধুকে মারধর করেছে। তাই আমি মোহাম্মদপুর থানার ওসি সাহেবকে ফোন করি। পরে পুলিশ গিয়ে ওদের মোহাম্মদপুরে খুঁজেছে। মূলত সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই আমার বিরুদ্ধে এই জিডি করা হয়েছে।”
https://www.facebook.com/watch/?v=1674114993303411&rdid=IUiSpkJ0eyLu8CPn
তিনি আরও বলেন, “ওর (সৌরভ) খালা আমার বাবাকে ফোন দিয়ে নালিশ করেছিল। আমার বাবা তখনো কিছু জানত না। তিনি শুধু বলেছেন, ‘ছোটবেলার বন্ধু, মিলে-মিশে থাকো।’ আমি আসলে কয়েক মাস ধরে ওদের সঙ্গে মিশি না। হয়তো এ কারণেই সে মানসিকভাবে অস্থির হয়ে এমন কাজ করছে।”
অভিযোগকারীর দাবি: তাসকিনই ডেকে নিয়ে মারধর করেন। অপরদিকে থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে অভিযোগ করা হয়, তাসকিন আহমেদ ফোন করে অভিযোগকারী সৌরভকে মিরপুর-১ নম্বরে ডেকে নেন এবং সেখানে তাকে কিল-ঘুষি মেরে শারীরিকভাবে আঘাত করেন। পাশাপাশি ভয়ভীতি ও হুমকিও দেন। পরে এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন সৌরভ।
থানার বক্তব্য ও বর্তমান অবস্থা: মিরপুর মডেল থানার সূত্র জানিয়েছে, তাসকিন ও অভিযোগকারী সৌরভের মধ্যে আগে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। বর্তমানে তাসকিন ও সৌরভ উভয়েই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে এবং উভয় পক্ষের বক্তব্য সংগ্রহ করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: