ডোপিং প্রতিরোধে কোরিয়ান এন্টি ডোপিং এজেন্সির সাথে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সমঝোতা চুক্তি, ঢাকায় তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন।
খেলোয়াড়দের মাঝে ডোপিংবিরোধী সচেতনতা বাড়াতে এবং দক্ষ ডোপ কন্ট্রোল অফিসার (DCO) তৈরিতে কোরিয়ান এন্টি ডোপিং এজেন্সি (KADA) ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মেডিকেল অ্যান্ড এন্টি ডোপিং কমিটির যৌথ উদ্যোগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো তিনদিনব্যাপী “K-lean Together Programme: Testing & Analysis Support” এবং On-site Doping Control Officer (DCO) Training Programme।
কর্মসূচি শুরু হয় ৫ জুলাই ২০২৫ সকাল ১০টায় বিওএ’র মিডিয়া সেন্টারে এক অনাড়ম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এ সময় কোরিয়ান এন্টি ডোপিং এজেন্সি ও বিওএ মেডিকেল ও এন্টি ডোপিং কমিটির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়, যার আওতায় কোরিয়া বিনামূল্যে বাংলাদেশের ৩০ জন খেলোয়াড়ের ডোপ টেস্ট করবে।
প্রশিক্ষণে অংশ নেন দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আগত তিনজন ফ্যাসিলিটেটর। ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলংকা থেকে ৫ জন এবং বাংলাদেশ থেকে ৯ জন প্রশিক্ষণার্থীসহ মোট ১৪ জন এই অন-সাইট প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক এবং বিওএ’র মেডিকেল ও এন্টি ডোপিং কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আশাদুজ্জামান। আরও উপস্থিত ছিলেন কোরিয়ান এন্টি ডোপিং এজেন্সির চিফ অপারেটিং অফিসার বায়েংকিউ বায়েক ও কমিটির সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ শফিকুর রহমান।
৬ জুলাই প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় দিনে টঙ্গীর জাতীয় আরচ্যারী একাডেমিতে অনুশীলনরত ক্রীড়াবিদদের মাঝে ৮ জন (৪ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা) আর্চারের ডোপিং টেস্টের মাধ্যমে বাস্তব নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
৭ জুলাই, প্রশিক্ষণের শেষ দিনে মিরপুর জাতীয় স্টেডিয়ামে ৩ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা ক্রিকেটার এবং ১ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা সাঁতারুর ডোপ টেস্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রশিক্ষণার্থীরা নিজেরাই নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে দক্ষতা অর্জন করেন।
বিকাল ৪:৩০টায় কোর্সের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের হাতে প্রশংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়, যা বাংলাদেশসহ সার্ক অঞ্চলের ডোপিং বিরোধী কার্যক্রমে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: