এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মঙ্গলবার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের কোচরা জানালেন নিজেদের লক্ষ্য—সিঙ্গাপুর চায় ভালো খেলা, বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার লক্ষ্য শুধু জয়।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক কাবরেরাকে প্রশ্ন করেন, “সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারলে আপনি কি চাকরি হারাতে পারেন বলে মনে করছেন?” প্রশ্ন শুনেই হাসির রোল পড়ে যায় সম্মেলন কক্ষে। হেসে কাবরেরা জানিয়ে দেন, চাকরি হারানোর ভয় নয়, জয়ই তার মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, “সিঙ্গাপুর শক্তিশালী দল। আমি আগেও বলেছি, তাদের দারুণ সামর্থ্য আছে, বিশেষ করে আক্রমণভাগে। তবে আমরা এই ম্যাচের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের পরিকল্পনা স্পষ্ট এবং আমরা বিশ্বাস করি, তিন পয়েন্ট পেতে পারি।”
বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে স্বীকৃত ম্যাচে বাংলাদেশ এখনও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয় পায়নি। ১৯৭৩ সালে মারদেকা কাপে ১-১ গোলে ড্র এবং ২০১৫ সালের একমাত্র দেখায় ২-১ গোলে হারে বাংলাদেশ। তার বাইরেও ১৯৭৩ সালে দুটি প্রীতি ম্যাচে একটিতে জিতলেও আরেকটিতে হেরে যায় লাল-সবুজরা।
সিঙ্গাপুরও পিছিয়ে নেই আত্মবিশ্বাসে। মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ঢাকায় এসেছে তারা। দলের ফরোয়ার্ড ইখসান ফান্দিকে নিয়ে কাবরেরাও সতর্ক। তবে বাংলাদেশ কোচের আত্মবিশ্বাসের অন্যতম ভিত্তি হলো দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং দলে যুক্ত হওয়া প্রবাসী ফুটবলাররা।
ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পাওয়া, ভারতের বিপক্ষে ড্র, আর নতুন প্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরী, শোমিত সোম ও ফাহামিদুল ইসলামের আগমন কাবরেরাকে দিয়েছে বাড়তি আত্মবিশ্বাস।
তিনি বলেন, “প্রস্তুতি খুব অল্প সময়ের ছিল, তবে আমরা সবদিকেই কাজ করেছি। ভুটানের বিপক্ষে জেতায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আমাদের লক্ষ্য পরিষ্কার—আগামীকাল জিততেই হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই গ্রুপে চার দলই এখন এক পয়েন্ট করে পেয়েছে। কেবল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলই পাবে বাছাইয়ের পরবর্তী রাউন্ডে খেলার সুযোগ। তাই ম্যাচ জেতাটা শুধু মান রক্ষার নয়, এগিয়ে যাওয়ারও সুযোগ।”
মঙ্গলবারের আরেক ম্যাচে মুখোমুখি হবে হংকং ও ভারত। তবে কাবরেরার চোখ আপাতত শুধুই সিঙ্গাপুর ম্যাচে।
তার ভাষ্য, “আমরা এখন শুধুই এই ম্যাচের কথা ভাবছি। জয় না পেলে বাছাইয়ের স্বপ্ন কঠিন হয়ে যাবে। তাই আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট—প্রতিপক্ষকে চাপে রেখে ম্যাচ জয়।”
এসআর
মন্তব্য করুন: