কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১১টি দানসিন্দুক খুলে মাত্র ৮ ঘণ্টায় পাওয়া গেছে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার এবং বৈদেশিক মুদ্রা।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টা থেকে দানসিন্দুক খোলার কাজ শুরু হয় এবং বিকেল ৩টা পর্যন্ত গণনায় প্রায় ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি পাওয়া গেছে।
দুপুর ১২টার কিছু পর এক হাজার ও ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিলে ৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা রূপালী ব্যাংকে জমা পাঠানো হয়।
মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি তিন থেকে চার মাস পরপর এসব দানসিন্দুক খোলা হয়। এবার ৪ মাস ১২ দিন পর এই প্রক্রিয়া চালানো হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আক্তার-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দানসিন্দুক খোলার কাজ শুরু হয়।
সিন্দুক খোলার পর নগদ অর্থগুলো বস্তায় ভরে নিরাপত্তার সঙ্গে গণনার জন্য নির্ধারিত স্থানে আনা হয়। এই কাজে অংশ নেন আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া ও পাগলা মসজিদের এতিমখানাসহ দুটি মাদরাসার ২৫০ জন শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংকের ৭০ জন কর্মচারী, মসজিদ কমিটি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোট ৪০০ জন সদস্য।
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, “মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সের ব্যয় নির্বাহের পর অবশিষ্ট টাকা নিয়মিতভাবে ব্যাংকে জমা রাখা হয়।
গত ৩০ নভেম্বর সিন্দুক খোলার সময় ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এখন পর্যন্ত ব্যাংকে জমা টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা।”
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকাল থেকে পুলিশ সদস্যরা সিন্দুক খোলা, টাকা গণনা এবং ব্যাংকে পাঠানোর পুরো কার্যক্রমে সতর্ক দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখ্য, পাগলা মসজিদ দেশের অন্যতম বৃহৎ দানপ্রবাহের কেন্দ্র।
এসআর
মন্তব্য করুন: