গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা সম্ভব: সালাহউদ্দিন আহমদ

গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাস মোকাবিলা করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, দেশের ভেতরে ও বাইরে সক্রিয় অপশক্তির বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা জানি, এই অপশক্তি দেশের ভেতরেও সক্রিয়, দেশের বাইরেও সক্রিয়। এ কারণে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।”

গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তপশিল ঘোষণা করে। এর পরদিন শুক্রবার রাজধানীতে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এই ঘটনার পর নির্বাচনী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দেয়। এমন প্রেক্ষাপটে শনিবার তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। বৈঠকে তিনি ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিরোধ সভায় সব রাজনৈতিক দলকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো যদি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক জোটে ঐক্যবদ্ধ থাকে এবং নিজেদের মধ্যে বিভাজন না থাকে, তাহলে জাতীয়ভাবে যেকোনো ধরনের সন্ত্রাস ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী ও সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় ঐক্যই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। একমাত্র এই ঐক্যের মাধ্যমেই আমরা এ ধরনের জাতীয় সংকট মোকাবিলা করতে পারব।”

ইনকিলাব মঞ্চের কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি জানান, ফ্যাসিবাদবিরোধী ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের ডাক দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

আজও তাদের কর্মসূচি চলমান রয়েছে এবং আগামীকাল ও পরশু শাহবাগ বা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিরোধ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এসব কর্মসূচিতে সর্বাত্মক অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএনপি।

প্রার্থীদের ওপর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা সম্পর্কে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা এ ধরনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে সরকার, রাজনৈতিক দল এবং জনগণের সম্মিলিত দায়িত্ব রয়েছে।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যৌথ বাহিনী, সরকার, রাজনৈতিক দল এবং জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে এ ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা।