[email protected] সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

২৯ দলের বৈঠক, আসন নিয়ে বিএনপির প্রতি ক্ষুব্ধ মিত্ররা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ৯:১৫ পিএম

সংগৃহীত ছবি

আসন ভাগাভাগি ইস্যুতে বিএনপি ও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে।

এর মধ্যেই মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে বৈঠকে বসে ২৯টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে বিএনপির সাম্প্রতিক প্রার্থীঘোষণা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মিত্ররা। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে অংশ নেয় গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, নেজামে ইসলামী পার্টি ও গণফোরামের শীর্ষ নেতারা। উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, নুরুল হক নুর, মোস্তফা জামাল হায়দার, অ্যাডভোকেট এহসানুল হুদা, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, সুব্রত চৌধুরী, আশরাফুল ইসলামসহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা সাইফুল হক বলেন, “বিএনপি তীরে এসে তরী ডুবাতে চলেছে। আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই দুই ধাপে ২৭২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে—এটা আমাদের সংক্ষুব্ধ করেছে। মনে হচ্ছে, বিএনপি ‘একলা চলো’ নীতি নিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াত যেখানে বন্ধু বাড়াচ্ছে, সেখানে বিএনপি মিত্র ছেঁটে ফেলছে—এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এতে অনাস্থা ও দূরত্ব বাড়বে, যা কেউই চায় না।”

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। এর মধ্যেও বিএনপি এখনো আমাদের সঙ্গে আলাপ করেনি। তারা নিজেদের ২৭২ আসনে প্রার্থী দিয়েছে—তাহলে আমরা দাঁড়াব কোথায়?”

বৈঠকে উপস্থিত অন্তত সাতটি দলের শীর্ষ নেতারা জানান, তাদের ঐক্য ধরে রেখেই বিএনপির সঙ্গে দ্রুত সংলাপে বসার প্রয়োজন রয়েছে। তারা বলেন, প্রতিশ্রুত মূল্যায়ন না পাওয়ায় হতাশা তৈরি হয়েছে। তবুও মিত্ররা বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান না; বরং আলোচনার মাধ্যমে 

গত ৩ নভেম্বর প্রথম ধাপে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। এর এক মাস পর ৪ ডিসেম্বর আরও ৩৬ আসনে নাম ঘোষণা করে। মোট ২৭২ আসনে প্রার্থী দিয়েছে দলটি। বাকি ২৮ আসনে শরিকদের প্রার্থী দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বিএনপি।
তবে যুগপৎ আন্দোলনের অংশীদাররা অভিযোগ করছেন—তাদের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ঘোষিত তালিকায় অন্তত ছয় আসনে মিত্রদের সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন।

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, দলটি মিত্রদের ক্ষুব্ধ করতে চায় না। সম্পর্ক অটুট রেখে আলোচনার মাধ্যমে আসন ভাগাভাগির সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হব

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর