[email protected] সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

নির্বাচনে ধানের শীষ বিজয়ী হলে দেশ রক্ষা পাবে: তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ৮:৫০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ই দেশকে রক্ষা করতে পারে—এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, “ধানের শীষকে জিতাতে হবে—এর কোনো বিকল্প নেই। জনগণের পক্ষের যে পরিকল্পনা বিএনপি দিয়েছে, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করতে হবে। প্রথম বাংলাদেশ, শেষ বাংলাদেশ—এখন কোনো আপস নয়।”

বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে যুবদল ও কৃষক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তারেক রহমান বলেন, “আপনার দল যে স্ট্রেইটকাট প্ল্যান উপস্থাপন করেছে, তা বাংলাদেশে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল দেখাতে পারেনি। দেশের মানুষকে সামনে নিয়ে কীভাবে এগোনো হবে—সেই পরিকল্পনা একমাত্র বিএনপিই দিয়েছে। এখন বসে থাকার সময় নেই; জনগণের পক্ষে এই যুদ্ধে নামতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশ গড়তে শুধু পরিকল্পনা করলেই হবে না। বহু পরিকল্পনা কাগজেই পড়ে থাকে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাস্তবায়ন করতে চাই। এই প্রয়াস শুরু করবে বর্তমান প্রজন্ম, আর পরবর্তী প্রজন্ম তা এগিয়ে নেবে।”

তারেক রহমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন,
“দলের পরিকল্পনাগুলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। জনগণকে বোঝাতে হবে দেশের ভবিষ্যতের জন্য এই কাজ কতটা জরুরি। আমরা যদি সতর্ক না হই এবং মাঠে না নামি—এই দেশ ধ্বংসের পথে যাবে।”

তিনি দাবি করেন, অতীতে দেশের সংকটময় মুহূর্তে বিএনপিই দেশকে রক্ষা করেছে। “ইতিহাস ঘাটলে দেখবেন, শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়া সবসময় জাতিকে রক্ষা করেছেন। এখন তাদের সেই দায়িত্ব আপনাদের কাঁধে।”

অনুষ্ঠানে তিনি দলের বিভিন্ন অগ্রাধিকার পরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরেন—

  • ফ্যামিলি কার্ড: নারী সমাজকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে।
  • হেলথ কার্ড: স্বাস্থ্যসেবায় সহজ প্রবেশাধিকারের জন্য।
  • ফার্মার্স কার্ড: কৃষকদের সরাসরি সুবিধা নিশ্চিত করতে।
  • কৃষি রপ্তানি বৃদ্ধি: কৃষিকে অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে গড়ে তোলা।
  • শিক্ষা সংস্কার: ইংরেজির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের তৃতীয় একটি ভাষায় দক্ষ করে তোলা।
  • মানবসম্পদ উন্নয়ন: ক্ষমতায় গেলে ১০ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, যার ৮০–৮৫ শতাংশ নারী।
  • জন্মহার নিয়ন্ত্রণ: আগামী ১০ বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
  • নগর উন্নয়ন: প্রতিটি ওয়ার্ডে বাজারদরে জমি কিনে খেলার মাঠ তৈরি।
  • দুর্নীতি প্রতিরোধ: মেগা প্রকল্পে না গিয়ে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-মানবসম্পদে বিনিয়োগ।

তিনি বলেন, “শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া—এই তিন মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে সারা বছর কাজ করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আরও উপস্থিত ছিলেন—
হাবিব-উন নবী খান সোহেল, ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, মাহদী আমিন, আমিনুল হক, কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী প্রমুখ।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর