[email protected] সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

দুর্নীতি দমনে অতীত অর্জন ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরলেন তারেক রহমান

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ৪:৩৯ পিএম

সংগৃহীত ছবি

আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রভাব, বিএনপির অতীত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে বিস্তারিত মতামত জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এসব কথা তুলে ধরেন।

তারেক রহমান বলেন, “দুর্নীতি কীভাবে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে তা বুঝতে দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

মেধার ভিত্তিতে চাকরি খুঁজতে বের হওয়া একজন গ্র্যাজুয়েট, কৃষকের সাধারণ সেবা পেতে মাসের পর মাস ভোগান্তি, হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তরুণের পরিবারের দুর্দশা কিংবা উদ্যোক্তাদের ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়ার অভিজ্ঞতাই বাস্তবতা তুলে ধরে।”
তার মতে, খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি, মানসম্মত শিক্ষার অভাব ও সড়কে নিরাপত্তাহীনতার মতো সমস্যা—সবকিছুর পেছনে রয়েছে দুর্নীতি।

বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রশাসনে শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন, যা অনিয়ম কমাতে ভূমিকা রাখে।

পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকারি প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন, কঠোর আর্থিক আইন, শক্তিশালী অডিট ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ ক্রয় নীতিমালা চালু হয়।

তিনি আরও মনে করিয়ে দেন, ২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদক—গঠন ছিল জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার বড় পদক্ষেপ।

এসব উদ্যোগকে বিশ্বব্যাংক, এডিবি স্বীকৃতি দিয়েছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন। টিআইবির জরিপ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে জনগণ নিজেরাই দুর্নীতি কমার প্রবণতা অনুভব করেছে।

দলের অতীত সাফল্যের উদাহরণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেন- শক্তিশালী অর্থ ব্যবস্থাপনা ও মানি লন্ডারিংবিরোধী আইন, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রভিত্তিক স্বচ্ছ ক্রয়নীতি, টেলিকম–মিডিয়া–বিমান পরিবহন খাতে উন্মুক্ত বাজারনীতি এবং প্রশাসনে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ।

তারেক রহমান দাবি করেন, “দুর্নীতি কমানোর ধারাবাহিক রেকর্ড একমাত্র বিএনপিরই রয়েছে।”
তিনি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দিকনির্দেশনাও দেন। এর মধ্যে রয়েছে - আদালত, দুদক, নির্বাচন কমিশন ও সরকারি সেবায় পূর্ণ স্বাধীনতা; উন্মুক্ত দরপত্র, সম্পদ বিবরণী বাধ্যতামূলক করা ও রিয়েল- টাইম অডিট; আধুনিক পুলিশিং ও দ্রুত বিচার ব্যবস্থা; সব ধরনের লাইসেন্স, জমি ও পেমেন্ট সেবা অনলাইনে এনে ঘুষের সুযোগ বন্ধ করা; হুইসলব্লোয়ার সুরক্ষা; শিক্ষা ব্যবস্থায় সততা ও নৈতিকতা শিক্ষা; ডিজিটাল ব্যয় নজরদারিতে শক্তিশালী আর্থিক পর্যবেক্ষণ।

তিনি বলেন, বহু বছরের অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন হবে। তবে ইতিহাস বলে—সৎ নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জনগণের সমর্থন থাকলে পরিবর্তন সম্ভব।

জনগণ দায়িত্ব দিলে বিএনপি আবারও সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর