বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে
এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ও বিদেশে নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার আলোচনা জোরালো হয়েছে।
সম্প্রতি তিনি জানান, দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে তার ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণে নেই। বিএনপির ভেতরে অনেকে বলছেন—নিরাপত্তা শঙ্কার কারণেই তার ফেরায় দেরি হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, তারেক রহমান দেশে ফিরলে তাকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মতো সর্বোচ্চ পর্যায়ের এসএসএফ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
সরকার ইতোমধ্যে খালেদা জিয়াকেও ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (VVIP) ঘোষণা করে এসএসএফ সুরক্ষা দিয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাও বলছে, তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই।
পাসপোর্টের বিষয়েও নতুন জটিলতা আছে—তার পুরোনো বাংলাদেশি পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। দেশে ফিরতে হলে নতুন পাসপোর্ট বা ট্রাভেল পাস নিতে হবে। সরকার জানিয়েছে, তিনি চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাভেল পাস দেওয়া হবে, কিন্তু তিনি এখনো আবেদন করেননি।
খালেদা জিয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল টেস্টের পর জানা যাবে তাকে বিদেশে নেওয়া সম্ভব কি না। সেটি যদি সম্ভব না হয়, তাহলে তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরতে পারেন। দলীয় সূত্র বলছে, ১১ ডিসেম্বরের মধ্যেই তার ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে তারা আশা করছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: