[email protected] সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
৫ কার্তিক ১৪৩২

ফরিদপুরে এ. কে. আজাদের গণসংযোগে যুবদলের হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৫ ১:০১ এএম

সংগৃহীত ছবি

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদের গণসংযোগে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

হামলাকারীরা তাঁর গাড়িবহরের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং এতে একজন আহত হন।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর সদরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিকেল ৪টার দিকে এ. কে. আজাদ পরমানন্দপুর বাজারে পৌঁছে স্থানীয় জামে মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে বাজার এলাকায় গণসংযোগের প্রস্তুতিকালে হঠাৎ নায়াব ইউসুফের পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে যুবদলের একদল নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে সেখানে আসে।

সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নান্নু মোল্লার নেতৃত্বে মিছিলটি এসে “অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন” এবং “নায়াব ইউসুফের পক্ষ থেকে সালাম নাও” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। যুবদল নেতাকর্মীরা এ. কে. আজাদের দিকে এগিয়ে গেলে তাঁর নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে ঘিরে রাখেন।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং এ. কে. আজাদকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়। তবে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তাঁর গাড়িবহর এলাকা ত্যাগের সময় পেছনের একটি গাড়ি যুবদল কর্মীরা ভাঙচুর করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,

“ফরিদপুর সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে যুবদলের কোনো সক্রিয় কমিটি নেই। পরমানন্দপুরে আমাদের কোনো কর্মী এ ঘটনায় অংশ নেয়নি।”

অন্যদিকে এ. কে. আজাদ বলেন,

“রাজনীতিতে এমন সহিংসতা আগে কখনো দেখিনি। নায়াব ইউসুফের কর্মীদের এমন আচরণে আমি বিস্মিত। এ ধরনের ঘটনা রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আরও বাড়াবে।”
তিনি জানান, ঘটনাটি নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ও কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক নায়াব ইউসুফ বলেন,

“আমি এ ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত নই। আমার নেতা-কর্মীদেরও নিষেধ করেছি—সহিংস কর্মকাণ্ডে না জড়াতে। এ. কে. আজাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর গাড়িবহরে আওয়ামী লীগের নেতারা থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে।”

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন,

“আজ পরমানন্দপুরে হাটের দিন ছিল। সেখানে এ. কে. আজাদ ও যুবদল উভয়পক্ষ গণসংযোগে ছিলেন। মুখোমুখি অবস্থান থেকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দুটি গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর