বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তারুণ্য ও নারীর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চায় বিএনপি।
এ লক্ষ্যে দলটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজিত এক বিশাল ছাত্র সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন,
“এই দেশের তারুণ্য শক্তি ও নারী সমাজই হচ্ছে পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। আমরা তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই, যাতে একটি গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ ও ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়।
রোববার বিকেল সোয়া ৩টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের সূচনা হয়। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবেই এই ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশ ঘিরে শাহবাগ মোড়ে টিএসসির দিকে মুখ করে একটি বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়। মৎস্য ভবন, কাঁটাবন মোড় এবং চারুকলা ইনস্টিটিউট পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়েছে নেতাকর্মীদের ঢল।
সকাল থেকেই ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে জড়ো হয় সমাবেশস্থলে। কারও হাতে জাতীয় পতাকা, আবার কারও হাতে দলীয় পতাকা। থেমে থেমে শোনা যায় বিভিন্ন স্লোগান, যা পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে।
ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। এরপর বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল মালুম।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতারা ও ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে তারেক রহমান বলেন,
“আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষিত, সচেতন ও সংগঠিত তরুণরাই পারে এই দেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিতে। আমাদের রাজনীতি, আমাদের সংগ্রাম, আমাদের স্বপ্ন—সব কিছুই এই নতুন প্রজন্মকে ঘিরে।”
জাতীয় রাজনীতিতে এই সমাবেশের তাৎপর্য ও তারেক রহমানের বার্তা তরুণ-নারী নেতৃত্বে বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনারই একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এসআর
মন্তব্য করুন: