উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিরসনে দেশের অন্যতম দুটি রাজনৈতিক দল—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য শুক্রবার (২৩ মে) দিবাগত রাতে বৈঠকের আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি জানান, বৈঠকে অংশগ্রহণের বিষয়ে দল এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। যথাসময়ে জানানো হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় বিএনপি এবং রাত ৮টায় জামায়াতের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এর আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি জানান, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতেই তাঁরা বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।
জামায়াত মনে করে, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ কোনো সমাধান নয়। তারা চায়, ড. ইউনূসের নেতৃত্বেই পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এর আগে দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে একটি সর্বদলীয় সংলাপ আয়োজনের আহ্বান জানান।
সূত্র অনুযায়ী, শনিবারের বৈঠকে নির্বাচন, বিচারব্যবস্থা, রাজনৈতিক সংস্কার এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের দলগুলোর মধ্যে ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, সেই সময়কার ত্যাগ, দেশের মানুষের আস্থা এবং জাতীয় ঐক্য বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ জানান।
অন্যদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেছেন, ১৯ মে থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
তাঁর দাবি, সরকারের ভেতরে থাকা কিছু আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী মহল বিএনপিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে এবং সেই কারণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: