বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবারও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে সফররত চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, “চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বিএনপির একটি পুরোনো সম্পর্ক রয়েছে। তবে গত ১৫ বছর ধরে তা ছিন্ন ছিল, কারণ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার এমন সম্পর্ক বজায় রাখার সুযোগ দেয়নি। এখন আবার সেই সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে তা আরও গভীর হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এটি এক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আরেক রাজনৈতিক দলের মিটিং। চীন সবসময় অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। তবে তারা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন ও সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে। আমরা তাদের তা বিস্তারিতভাবে অবহিত করেছি।”
বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে চীনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “চীন একটি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী বাংলাদেশ দেখতে চায়। তারা চায় দেশে একটি সার্বিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকুক।”
বৈঠকে বিএনপির সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মির্জা ফখরুল। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন-
চীনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর পেং জিউবিন। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন-
এর আগে একই স্থানে পেং জিউবিনের সঙ্গে বাংলাদেশের আরেক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদাও বৈঠক করেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: