বিরতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রিত্বের তৃতীয় মেয়াদের সুযোগ চায় বিএনপি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পদে পরপর দুই মেয়াদের বেশি না থাকার বিধান থাকলেও, একটি মেয়াদ বিরতির পর পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও জানান, বিএনপির এই প্রস্তাবের পর ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদকাল সংক্রান্ত একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সেটি এখনই প্রকাশ করতে চায় না বিএনপি। দলীয় ফোরামে আলোচনা শেষে তারা এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করবে।

সালাহউদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রপতির বিদ্যমান ক্ষমতার বাইরে নতুন কিছু ক্ষমতা সংযোজনের বিষয়ে বিএনপি সম্মতি দিয়েছে। বিশেষ করে সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদের পর নতুন একটি অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বিষয়টি সংসদে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করার কথা বলেছেন তারা। কমিশনের প্রস্তান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি যেন সংসদের উভয় কক্ষের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন—এ বিষয়েও একমত বিএনপি।

তবে একই ব্যক্তি সরকারের প্রধান, দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হবেন না—এ প্রস্তাবে বিএনপি দ্বিমত পোষণ করেছে। সালাহউদ্দিন বলেন, "আমরা বিষয়টি উন্মুক্ত রাখার প্রস্তাব দিয়েছি। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন বিধান দেখা যায় না।"

তিনি আরও জানান, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে বলেন, “সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা বা বহুত্ববাদ নেই। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে থাকা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের মূল্যবোধ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব এসেছে, এতে আমরা একমত।"

জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবেও বিএনপি একমত। সালাহউদ্দিন বলেন, “ইন্টারনেট এখন একটি মৌলিক সেবা। শুধু এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, রাষ্ট্র যেন ইচ্ছামতো এটি বন্ধ করতে না পারে।”

সালাহউদ্দিন আরও জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অধিকাংশ প্রস্তাবেই বিএনপি একমত হয়েছে। তবে কিছু কিছু বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।