সংরক্ষিত আসন পদ্ধতিকে নারীদের জন্য ‘অমর্যাদাকর’ উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নারীদের সংসদে পাঠাতে চায়।
দলটি ১০০টি আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম নারী সেলের উদ্যোগে ‘রাজনীতি ও নাগরিক হিসেবে নারী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান এনসিপির নেতারা।
সভায় এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, “নারীদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার যে চিত্র থাকা উচিত ছিল, তা পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নারীদের অংশগ্রহণকে আরও উৎসাহিত করা দরকার। অন্যদিকে বিএনপি নারী ক্ষমতায়নের কথা বললেও তারা কার্যত নারীদের পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে।
অথচ নারীরা নানা আন্দোলনে বড় ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে ২০২৪ সালের আন্দোলনে নারীদের কয়েকটি সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ মোড় তৈরি করেছিল।”
কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনুভা জেরিন বলেন, “এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে বর্তমানে ২৩ জন নারী নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
শুরুতে সংখ্যা কম হলেও এখন আমরা বিশ্বাস করি, নারীদের ছাড়া কোনো দল গঠন সম্ভব নয়। সংরক্ষিত আসনে যারা আসেন, তারা অনেক সময় প্রকৃত নারী প্রতিনিধি নন।
এনসিপি চায়—সাধারণ পরিবার থেকে আসা নারীরা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে আসুক।”
আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, “সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী ১০০ নারীকে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
যারা এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করবে, তাদের জনগণ আগামী নির্বাচনে প্রত্যাখ্যান করবে—এটাই আমাদের আহ্বান। আগে সংরক্ষিত আসনে যারা সংসদে গেছেন, তারা অনেকেই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা রাখেননি।”
উত্তরাঞ্চলের সংগঠক রাসেল আহমদ বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই আন্দোলনে আমার স্ত্রী প্রথম প্ল্যাকার্ড তৈরি করেছিলেন। নারীদের সাহসিকতার কারণে আমরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে পেরেছি।
এসআর
মন্তব্য করুন: