[email protected] বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
১৭ বৈশাখ ১৪৩২

সেইফ গেম প্লে না করতে পারাটা হাসনাতের বড় সমস্যা : সারজিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ৪:০৮ পিএম

ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

তবে এমন পরিস্থিতিতে হাসনাতের পাশে দাঁড়িয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।

সোমবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে হাসনাতের সাহসিকতার প্রশংসা করে একটি পোস্ট দেন সারজিস। সেখানে তিনি হাসনাতের ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপের সপক্ষে ব্যাখ্যা দেন এবং সমালোচকদের জবাব দেন।

সারজিস কী বললেন?
সারজিস বলেন, “পরিস্থিতি যতই অস্থিতিশীল হোক, ষড়যন্ত্রের আভাস পেলেই হাসনাত কোনো কিছু চিন্তা না করেই ছুটে যায় সমাধানের জন্য। সে এই ঝুঁকি নিতে পিছু হটে না, সেটা ক্যাম্পাস, রাজপথ, কিংবা অন্য কোথাও হোক।”

তিনি আরও যোগ করেন, “মবের মধ্যে ঢুকে মারামারি থামানোর চেষ্টা করা সহজ কাজ নয়। আশপাশে অনেক শত্রু থাকা সত্ত্বেও হাসনাত এই সাহস দেখিয়েছে।

ফলাফল হয়তো প্রত্যাশিত হয়নি, কিন্তু তার উদ্দেশ্য সৎ ছিল। এই ধরনের সাহসিকতা শুধু সমালোচনা নয়, প্রশংসারও দাবিদার।”

হাসনাতের সাহসিকতার উদাহরণ
সারজিস তার পোস্টে হাসনাতের আগের কয়েকটি সাহসী কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করেন। তিনি লিখেন, “গত জুলাইয়ে ভিসি চত্বরে গায়েবানা জানাজা শেষে যখন সবাই পুলিশের টিয়ারশেল আর সাউন্ড গ্রেনেড থেকে পালাচ্ছিল, তখন স্রোতের বিপরীতে গিয়ে হাসনাতই প্রথম পুলিশের দিকে এগিয়ে যায়। তার কথায় ছিল, ‘We are open to killed.’

এমনকি হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথের মিছিলে কিংবা সচিবালয়ে আনসার লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদেও হাসনাতই ছিল প্রথম সারিতে। এই তরুণদের মতো সাহসী প্রজন্মই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায়।”

‘সেইফ গেম প্লে’ করতে না পারাটাই তার ‘সমস্যা’
সারজিস সমালোচকদের কটাক্ষ করে বলেন, “আপনারা যারা শুধু ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলতে পারেন, তাদের মতো সেইফ গেম প্লে করতে না পারাটাই হাসনাতের বড় সমস্যা। তবে এটিই তার সবচেয়ে বড় গুণও, কারণ তার মতো সাহসী তরুণরাই নতুন স্বাধীনতার রক্ষক।”

সারজিস তার বক্তব্যে বলেন, “কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ হাসনাতের বিরুদ্ধে কথা বলবে, তবু দিনশেষে এই তরুণেরা নিজেদের রক্ত দিয়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ রক্ষক।”

সারজিস তার পোস্টটি শেষ করেন এই বলে, “আমরা হাসনাত এবং তার মতো তরুণদের সঙ্গে আছি। দেশকে ভালোবেসে যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে, তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব।”

এ ধরনের সাহসী উদ্যোগ এবং ত্যাগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ হাসনাতের সাহসিকতার প্রশংসা করবেন বলে আশা করা যায়।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর