[email protected] বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
১৭ বৈশাখ ১৪৩২

শেখ হাসিনাসহ পরিবারের সাত সদস্যের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৩৫ পিএম
আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১:৫৪ এএম

ফাইল ছবি

দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের সাত সদস্যের দেশ-বিদেশে থাকা সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ)।

এ তালিকায় আছেন শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, এবং শেখ রেহানার সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক।

বিএফআইইউ ইতোমধ্যে দেশীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তাদের সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।

একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং সংস্থা এগমন্ট গ্রুপের কাছেও তথ্য চাওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট সম্পদের তথ্য সরবরাহ করে থাকে।

বিএফআইইউ ৮১টি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে, যা তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়াকে সহজতর করছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, কানাডা, এবং মালয়েশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশে পাঠানো অর্থের তথ্য সংগ্রহের জন্য এগমন্ট গ্রুপকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার পরিবারের নামে বিদেশে সম্পদ থাকার বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যকে কেন্দ্র করেই এই অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি, আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআই এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার ব্যাংক হিসাবগুলোও খতিয়ে দেখা হয়েছে। এতে সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ মেলার পর শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের হিসাবও খতিয়ে দেখা হয়েছে। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই ট্রাস্টের মাধ্যমে সম্পদ স্থানান্তরের তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে।

টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আর্থিক খাতে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ সামনে এসেছে। বিশেষ করে ব্যাংক দখল ও লুটের মাধ্যমে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সরকার পতনের পর বেশ কিছু প্রভাবশালী মন্ত্রী ও ব্যবসায়ী দেশ ছেড়েছেন। তাদের অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ চলছে।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকার এ বিষয়ে সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে।

বিএফআইইউ আরও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

 

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর