বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচিত সংসদ ও সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা বিএনপি দেবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘রাজবন্দীর জবানবন্দি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা বিভক্তির রাজনীতি চাই না। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জাতিকে রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। সংস্কার অবশ্যই প্রয়োজন, কিন্তু তা হতে হবে নির্বাচিত সরকারের অধীনে।
ফ্যাসিবাদী সরকার এই ধরনের সংস্কারের বৈধতা দিতে পারে, কিন্তু আমরা তা পারব না।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী ও স্বাধীনতাকামী মানুষদের প্রতি আমার আহ্বান, ঐক্যবদ্ধ থাকুন, বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। রাজনৈতিক কর্মীদেরও অনুরোধ করব ঐক্যের জায়গা শক্তিশালী করুন।
শেখ হাসিনার শাসনকালে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে এসে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে।”
সংস্কার নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি-ই দেশে প্রথম সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।
শহীদ জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে রূপান্তর ঘটান। তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন, মুক্ত অর্থনীতি চালু করেন এবং ভ্রান্ত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি থেকে দেশকে বের করে আনেন। ১৯ দফা কর্মসূচি ছিল দেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার।”
তিনি বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের এসব ঐতিহাসিক উদ্যোগ প্রচারে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের সঙ্গে আরও গভীর সম্পৃক্ততা তৈরি করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক শফিক রেহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: