কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শনিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নাগরিক সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটে, যাতে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসানসহ জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ হামলার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস আলমের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
হামলার প্রতিবাদে রোববার গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে। সমাবেশে দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানান এবং বলেন, "যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার না করা হয়, আমাদের নেতাকর্মীরা ব্যবস্থা নেবে। বারবার সারজিসের নাম আসছে, এই হামলার পেছনে। আশা করি, সে তার অবস্থান পরিষ্কার করবে। হামলার পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে।"
এছাড়া, দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানও সমাবেশে একই দাবি জানিয়ে বলেন, "আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিও তুলছি।" তিনি উপদেষ্টা পরিষদকে সমালোচনা করে বলেন, “যেসব উপদেষ্টা জনগণের অনুভূতি বুঝতে পারছেন না, তাদের বাদ দিয়ে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ করা উচিত। ফারুক হাসানের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অফিস ঘেরাও করার কর্মসূচি নেব।”
এদিকে, শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর জানান, "তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি নিয়ে থানায় এসেছেন। আমরা তাদের বলেছি, মামলা হয়েছে এবং আমাদের তদন্ত চলছে। হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি, শীঘ্রই আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।"
প্রসঙ্গত, শনিবার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার পর গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসানের ওপর হামলা হয়। এ হামলার পেছনে সারজিস আলমের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক খোমেনী ইহসান। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি বলেন, "হামলাকারীরা একসময় যুবদল করলেও এখন সারজিসের সঙ্গে জড়িত। আমি সারজিসের নাগরিক সমাবেশ বানচাল করার অডিও ক্লিপ এক ছাত্র উপদেষ্টার কাছে পাঠিয়েছি।"
খোমেনী ইহসানের অভিযোগের পর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরও সারজিসের কাছে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে বলেছেন, তবে সারজিস এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এসআর
মন্তব্য করুন: