ওসমান হাদির ওপর হামলা নির্বাচন নস্যাৎ করার অপচেষ্টা: গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তিন দলীয় গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট।

জোটের মতে, এই হামলা গণতন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা ও নাগরিক নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত এবং নির্বাচনকে ব্যাহত করার সুস্পষ্ট অপচেষ্টা।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক ও জোটের মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই “ফ্যাসিবাদের দোসররা” সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা শুরু করেছে।

রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনে গুলিবর্ষণ ও হামলার মতো ঘটনা কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।

গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট আসন্ন নির্বাচনে সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।

তাঁদের বক্তব্য, নির্বাচন ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে যেকোনো সহিংসতা “চরম অগ্রহণযোগ্য”—জনগণের নিরাপত্তা এবং প্রার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।

নেতারা শরিফ ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় রিকশাযোগে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।