[email protected] সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

চট্টগ্রাম বন্দরে ৪২০০ কেজি আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ৭:১১ পিএম

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি নিষিদ্ধ ৪ হাজার ২০০ কেজি ঘনচিনি জব্দ

করেছে কাস্টমস হাউস চট্টগ্রামের গোয়েন্দা ইউনিট। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে এই কৃত্রিম মিষ্টিকারক উদ্ধার করা হয়। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) কাস্টমস হাউসের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

তথ্য অনুযায়ী, এজাজ ট্রেডিং নামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চীন থেকে পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড ঘোষণায় মোট ২২,০৮৮ কেজি পণ্য আনয়ন করে। গত ২১ অক্টোবর মালবাহী কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালেও সন্দেহের কারণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য খালাস স্থগিত করে। পরে ৬ নভেম্বর কায়িক পরীক্ষায় কনটেইনারে ঘোষণাবহির্ভূত পণ্য পাওয়া যায়।

পরীক্ষায় দেখা যায়—কনটেইনারে দুটি ভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। নমুনা ল্যাবে পাঠানোর পর কাস্টমস ল্যাবের রাসায়নিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হয় যে এর মধ্যে ১৭ হাজার ৮০০ কেজি পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড থাকলেও বাকি ৪ হাজার ২০০ কেজি আসলে ঘনচিনি।

ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির তুলনায় ৩০–৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। মুনাফার আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই উপাদান ব্যবহার করে বিভিন্ন মিষ্টান্ন, বেকারি পণ্য, চকোলেট, জুস, আইসক্রিম, কনডেন্সড মিল্কসহ শিশু খাদ্যও তৈরি করে থাকে। তবে এই উপাদান মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর—এটি ক্যান্সারসহ কিডনি ও লিভারের গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হওয়ায় আমদানি নীতি ২০২১–২০২৪ অনুযায়ী ঘনচিনি আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

নিষিদ্ধ পণ্য আমদানির কারণে কাস্টমস আইন ২০২৩ অনুযায়ী পুরো চালানটি কাস্টমস হাউস চট্টগ্রাম জব্দ করেছে। একই সঙ্গে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর