আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজন
হওয়ায় অতিরিক্ত সময় ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন পড়ে। এ কারণে নির্বাচন কমিশন ভোটের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন ভোট শুরু হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে এবং চলবে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। ভোটকক্ষে ভিড় সামলাতে প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত সিক্রেট বুথ স্থাপনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
প্রবাসী ও ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং–সংক্রান্ত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ছাপিয়ে বিদেশে পাঠানোর কাজ শুরু হবে খুব শিগগিরই। পোস্টাল নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়িয়ে ২৫ ডিসেম্বর করা হয়েছে। একই সঙ্গে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ দিন ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন চলবে।
আচরণবিধি বাস্তবায়নে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে হবে। অনুদান বা ত্রাণ বিতরণের মতো কার্যক্রমেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে, তবে বয়স্ক ভাতা বা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মতো নিয়মিত সুবিধা এতে বাধাগ্রস্ত হবে না।
নির্বাচনকে সুষ্ঠু রাখার লক্ষ্যে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুতিও জোরদার করা হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আগের রাতে কেন্দ্রে গিয়ে কোনো স্থানীয় সহায়তা না নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে। শিগগিরই বিভিন্ন বাহিনীর মোতায়েনসংক্রান্ত পরিপত্র জারি হবে।
ভুয়া তথ্য ও অনিয়ম মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হচ্ছে। প্রতিটি আসনে একটি করে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি থাকবে, যাদের বিচারিক ক্ষমতাও দেওয়া হবে। তফসিল ঘোষণার পর উপজেলা ও থানায় দুইজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে, এবং ভোটের সপ্তাহে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকবে। দুর্গম এলাকায় ব্যালট ও নির্বাচন সামগ্রী পরিবহনে হেলিকপ্টার ব্যবহারের পরিকল্পনাও রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাংক ও পোস্ট অফিস খোলা থাকবে।
সবশেষে, ব্যালট পেপার আগের রাতে কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হবে। কমিশন জানিয়েছে, এবার এ প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারির আওতায় থাকবে এবং পূর্বের মতো অনিয়মের সুযোগ রাখা হবে না।
এসআর
মন্তব্য করুন: