[email protected] সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

পুলিশ ভেরিফিকেশন বন্ধ

এনআইডির আঙুলের ছাপে হবে পাসপোর্ট যাচাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ২:৪৯ পিএম

সরকার ই-পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন আনছে। নতুন ব্যবস্থা

অনুযায়ী, পাসপোর্ট আবেদন ও নবায়নে আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থেকে নেওয়া বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করা হবে। এর ফলে পুলিশি যাচাই প্রক্রিয়া কার্যত বন্ধ হবে এবং স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

ই-পাসপোর্টে এনরোলমেন্টের সময় আবেদনকারীর এনআইডি তথ্য, যেমন ছবি ও বায়োমেট্রিক ডেটা, দেখানো হবে। প্রস্তাবিত পদ্ধতি অনুযায়ী, আঙুলের ছাপ এবং মুখের ছবি এনআইডির সঙ্গে মিলিয়ে চূড়ান্ত যাচাই করা হবে। কোনো অমিল হলে কেসটি ম্যানুয়াল যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হবে।

বর্তমানে ই-পাসপোর্ট আবেদন নেওয়ার সময় এনআইডির ডেমোগ্রাফিক তথ্য (নাম, জন্মতারিখ, পিতামাতার নাম) অনলাইনে যাচাই করা হয়। তবে নিরাপত্তার দিক থেকে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু তথ্য মিলানো যথেষ্ট নয়, বায়োমেট্রিক মিল বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।

আগে পুলিশ স্থানীয়ভাবে আবেদনকারীর পরিচয়, ঠিকানা ও পেশা যাচাই করতেন। এই ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় প্রযুক্তি-নির্ভর পদ্ধতি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। পাইলট প্রকল্প আকারে কয়েকটি আঞ্চলিক অফিসে বায়োমেট্রিক মিল পরীক্ষা করা হবে।

নতুন প্রক্রিয়ার সুবিধা:

জাল পরিচয়ে পাসপোর্ট গ্রহণ রোধ হবে।

এক ব্যক্তি একাধিক পাসপোর্ট নেওয়ার সুযোগ প্রায় বন্ধ হবে।

সরকারের ব্যয় কমবে এবং অপরাধী শনাক্তকরণ সহজ হবে।

আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের পাসপোর্টের নিরাপত্তা মান বাড়বে।


শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে, ডিজিটাল জন্মসনদের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। ১৩ বা ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদ নম্বর তাদের মূল শনাক্তকরণ কোড হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সরকার ঘোষণা করেছে, নতুন পাসপোর্ট আবেদন, বিদেশে থাকা নাগরিক এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অনলাইনে যাচাইকৃত এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর