জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, ছাত্র ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, এক বছর আগে এই দিনে—৫ আগস্ট—প্রবল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটে। এই গণআন্দোলন ইতিহাসে পরিচিতি পেয়েছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ নামে। ওইদিনের স্মরণে আজ পালিত হচ্ছে প্রথম বার্ষিকী, ‘৩৬ জুলাই’ নামে, যা বাঙালি জাতির সংগ্রামী ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দিবসটি ঘিরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে। রয়েছে ব্যান্ড সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং রাতের বেলায় বিশেষ ড্রোন শো। হাজারো মানুষ, বিশেষ করে তরুণ-তরুণী, এসব আয়োজনে অংশগ্রহণ করে দিবসটি উদ্যাপন করছেন।
বৃষ্টির কিছুটা বাগড়ায় অনুষ্ঠানে ছন্দপতন ঘটলেও জনসমাগমে কোনো ভাটা পড়েনি। অনেকেই জাতীয় পতাকা কাঁধে নিয়ে কিংবা ‘জুলাই সনদ’ ব্যাজ লাগিয়ে, ছাতা ছাড়া ভিজে অংশ নিচ্ছেন অনুষ্ঠানমালায়।
মিরপুর থেকে আসা তরুণ আশরাফুল ইসলাম ইমন বলেন, “আজ ৩৬ জুলাই। এই দিনে আমরা ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলাম। সেই বিজয়ের এক বছর পূর্ণ হওয়ায় আমরা উদ্যাপনে এসেছি। এই দিন আমাদের জন্য গৌরবের।”
এদিকে সন্ধ্যায় ‘জুলাই দিবস’ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাত ৮টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে ভাষণটি। সেখানে তিনি নির্বাচন কমিশনকে তফসিল চূড়ান্তকরণে চিঠি পাঠানোর ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: