২৩ শ্রাবণ ১৪৩২
বিমানবাহিনীতে ‘র’ নেটওয়ার্ক ফাঁস শীর্ষক প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর: আইএসপিআর
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অভ্যন্তরে ‘র’ (RAW) নেটওয়ার্ক থাকার অভিযোগ সংবলিত একটি সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর’ এবং ‘ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
সোমবার (৪ আগস্ট) এক প্রতিবাদ লিপিতে আইএসপিআর জানায়, পত্রিকা, ইউটিউব চ্যানেল ও অনলাইন পোর্টালে ‘বিমানবাহিনীর অভ্যন্তরের র নেটওয়ার্ক ফাঁস’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই এবং তা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা—এয়ার ভাইস মার্শাল এমএ আউয়াল হোসেন, এয়ার ভাইস মার্শাল জাহিদুল সাঈদ, এয়ার কমডোর মোহাম্মদ আমিনুল হক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল ফারুক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শামীম এবং উইং কমান্ডার সাইয়েদ মোহাম্মদকে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আইএসপিআর জানায়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রচলিত বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত চাকরির বয়সসীমা শেষে নিয়মিত প্রক্রিয়ায় অবসর গ্রহণ করেছেন। এমনকি উক্ত তথ্য পূর্বেই আইএসপিআর নিশ্চিত করলেও সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে, যা অনভিপ্রেত।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রিফাত আশরাফী ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহসিফ সুরিকে একই অভিযোগে অবসরে পাঠানো হয়েছে। তবে আইএসপিআরের বক্তব্য অনুযায়ী, তাদের অবসরও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রচলিত বিধি অনুসারে হয়েছে; বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ নেই।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, এ ধরনের অপপ্রচার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ও তাদের পরিবারের সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। পাশাপাশি এটি জাতীয় স্থিতিশীলতা, সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনের পক্ষে এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে বিমানবাহিনী সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য যাচাইয়ের জন্য গণমাধ্যমকে আইএসপিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: