[email protected] রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫
১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

৫ আগষ্ট উদ্বোধন হচ্ছে না ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩ আগষ্ট ২০২৫ ১:৪৫ এএম

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গণভবনের ১৭.৬৮ একর জমিতে নির্মাণাধীন ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী ৫ আগস্ট উদ্বোধন করা হচ্ছে না।

সময়মতো নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জাদুঘরের কিউরেটর তানজিব ওয়াহাব শনিবার কালবেলাকে জানান, “আগামী ৫ আগস্ট জাদুঘর উদ্বোধনের পরিকল্পনা থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না। খুব শিগগিরই নতুন উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।”

জানা গেছে, নির্মাণকাজের অগ্রগতি এখনো প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যায়ে রয়েছে। এ অবস্থায় শুক্রবার এক বৈঠকে জাদুঘর নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা উদ্বোধন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্বাহী প্রকৌশলী কালবেলাকে বলেন, “সিভিল ও ইলেকট্রোমেকানিক্যাল (ইএম) বিভাগের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারায় জাদুঘরের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়নি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থ ছাড় দেওয়া হলেও কাঙ্ক্ষিত গতিতে কাজ এগোয়নি।”

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জাদুঘর নির্মাণের লক্ষ্যে গণভবনের বি সেক্টরে, তেজগাঁও মৌজার প্লট নম্বর-০৫ (আয়তন ১৭.৪৬৭৯ একর) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। গত সপ্তাহে লিজ চুক্তি সম্পন্ন হয়। জমিটি বিনামূল্যে বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রতিবছর খাজনা হিসেবে ৩ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে।

জাদুঘরের নির্মাণ ও সংস্কারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সরাসরি ক্রয়পদ্ধতির আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ১৫ জুলাই সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার মোট ১১১ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে ইএম কাজের জন্য শুভ্রা ট্রেডার্সকে ৪০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং সিভিল কাজের জন্য দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে ৭০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (ইএম) ড. মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, “সিভিল ও ইএম উভয় খাতেই সমান তালে কাজ চলছে। অগ্রগতি সন্তোষজনক হলেও সময়সীমার মধ্যে উদ্বোধন সম্ভব নয়।”

২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের লক্ষ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়।

জাদুঘরে থাকবে শহীদদের ব্যবহৃত পোশাক, চিঠিপত্র, সংবাদপত্রের কাটিং, অডিও-ভিডিও দলিল, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ভিডিওচিত্র, প্রতীকী গণকবর এবং ‘আয়নাঘর’-এর রেপ্লিকা।

সূত্র মতে, ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাদুঘর প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেও নকশা অনুমোদনে বিলম্ব ঘটে। অবশেষে ৮ জুলাই নকশা অনুমোদনের পর দ্রুত গতিতে কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর