[email protected] শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত, ৫ আগস্ট জাতির সামনে উপস্থাপন করবে অন্তর্বর্তী সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ আগষ্ট ২০২৫ ৩:৫৩ পিএম

সংগৃহীত ছবি

জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় গণঅভ্যুত্থানের সব পক্ষের উপস্থিতিতে এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।

শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, এ বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা দ্রুত দেওয়া হবে।

এর আগে শুক্রবার (১ আগস্ট) মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লেখেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র এখন বাস্তবতা। ৫ আগস্টের মধ্যেই এটি ঘোষিত হবে।” তিনি আরও বলেন, “এটি বাস্তবায়নের পথ সুগম করতে যাঁরা ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।”

অন্যদিকে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র আসছে...”

এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর খসড়া প্রকাশ করা হয়। এতে সাতটি মূল অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করা হয়, যা রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতির ভিত্তিতে চূড়ান্ত আকারে স্বাক্ষরিত হতে পারে।

খসড়ায় উল্লেখিত সাতটি অঙ্গীকারের সারসংক্ষেপ: ১. ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ পূর্ণ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি।
২. সনদে উল্লিখিত প্রস্তাব বাস্তবায়নে সংবিধান ও আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও নতুন আইন প্রণয়নের অঙ্গীকার।
৩. এসব সংস্কার জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের প্রথম দুই বছরের মধ্যেই সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি।
৪. সব প্রস্তাব নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যেই কার্যকর করার দায়বদ্ধতা।
৫. প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার।
৬. সনদ বাস্তবায়নে অবিচল থাকার ঘোষণা।
৭. ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার অঙ্গীকার।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত জানানো হয় এবং ৩১ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে তা প্রকাশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

ওই সম্মেলনে আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে “নাৎসি বাহিনীর মতো অপ্রাসঙ্গিক” করা হবে এবং ১৯৭২ সালের সংবিধানকে “অতীতের দলিল” হিসেবে পরিগণিত করা হবে।

প্রাথমিকভাবে সরকার এ প্রক্রিয়ায় সরাসরি যুক্ত না থাকলেও পরে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার ভিত্তিতে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর খসড়া তৈরি হয়। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর