[email protected] মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫
২০ শ্রাবণ ১৪৩২

মব নয়, এটি প্রেশার গ্রুপ: প্রেস সচিবের ব্যাখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২৫ ৫:১৩ পিএম

সংগৃহীত ছবি

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বর্তমানে যে সামাজিক প্রতিক্রিয়া গড়ে উঠছে, তা মব নয় বরং একটি ‘প্রেশার গ্রুপ’।

তিনি মনে করেন, এই ধরনের চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে অতীতে সাংবাদিকতার ব্যর্থতার কারণে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, “প্রেশার গ্রুপ তৈরির কারণ রয়েছে। গত ১৫ বছরে এই গোষ্ঠীর ন্যূনতম নাগরিক স্বাধীনতাও (সিভিল লিবার্টি) রক্ষা করা হয়নি। তাদের ক্ষোভ জমে আছে, এবং সেই প্রেক্ষাপট থেকেই তারা সংগঠিত হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “গত বছরের ২৮ জুলাই দেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু সাংবাদিক প্রকাশ্যে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন— ‘এদেরকে খুন করেন’, ‘পুলিশ কেন গুলি করছে না।’ এ ধরনের মন্তব্য পুনরায় ঘটতে পারে—এই আশঙ্কা থেকেই প্রেশার গ্রুপ তৈরি হচ্ছে। এর সমাধান কীভাবে করা যায়, সেটিই এখন ভাবনার বিষয়।”

সাংবাদিকতার দায়িত্বহীনতার দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন, “সব দায়-দায়িত্ব সরকারকে না দিয়ে, যারা আস্থা নষ্ট করেছেন, তাদের প্রতিও প্রশ্ন থাকা উচিত। নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা সামনে রেখে কেউ কেউ আবার পুরনো অবস্থানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এতে করে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা এগোবে না।”

প্রেশার গ্রুপ নিয়ে দেওয়া মন্তব্য যে তার ব্যক্তিগত, সেটিও স্পষ্ট করে দেন তিনি। বলেন, “এই বিষয়ে আমার মতামত ব্যক্তিগত, এটি সরকারের অবস্থান নয়।”

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই—এটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর বক্তব্য। আমাদের সাংবাদিকতা এতটাই স্বাধীন যে, অনেক উন্নত দেশেও এর তুলনা নেই। কিন্তু এই স্বাধীনতার অপব্যবহারও হচ্ছে। ভিডিওভিত্তিক অলস ও ভিত্তিহীন সাংবাদিকতায় মানুষ ভুল তথ্য পাচ্ছে, পত্রিকা পড়ার আগ্রহ হারাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার বা উপদেষ্টাদের নামে যখন ভিত্তিহীন ভিডিও তৈরি করা হয়, তখন সেটি সহ্য করা কঠিন। আমি যদি প্রতিবাদ করি, তখন বলা হয়, আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অথচ সত্যের অপমান হচ্ছে প্রতিনিয়ত।”

অপসাংবাদিকতার বিরূপ প্রভাব নিয়েও সতর্ক করেন প্রেস সচিব। বলেন, “সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে আইন প্রয়োজন, তবে একইসঙ্গে যারা অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তাদের হাত থেকেও সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে হবে।”

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর