[email protected] মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫
২১ শ্রাবণ ১৪৩২

দেশে চালু হলো ‘গুগল পে’, অর্থ লেনদেনে নতুন যুগের সূচনা : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২৫ ১:১২ পিএম

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’।

 মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এই সেবার উদ্বোধন করেন।

বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত এই আধুনিক লেনদেন সেবাটি বাংলাদেশে চালু করেছে সিটি ব্যাংক, গুগল, মাস্টারকার্ড এবং ভিসার যৌথ সহযোগিতায়। ফলে গুগল পের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা প্রথম বাংলাদেশি ব্যাংক হিসেবে ইতিহাস গড়েছে সিটি ব্যাংক।

উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া : "নতুন যুগের সূচনা"

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গুগল পে চালুর ঘটনাকে দেশের অর্থনৈতিক খাতে “নতুন যুগের সূচনা” বলে অভিহিত করেছেন।

মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে তিনি লিখেছেন,
"অর্থ লেনদেনে নতুন যুগের সূচনা! স্বাগত জানাই গুগল পে-কে বাংলাদেশে। এখন লেনদেন হবে আরও সহজ, আরও স্মার্ট!"

শুরুতে সিটি ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য সীমিত সেবা

প্রথম ধাপে শুধুমাত্র সিটি ব্যাংকের মাস্টারকার্ড ও ভিসা কার্ডধারীরা গুগল ওয়ালেটের মাধ্যমে গুগল পে ব্যবহার করতে পারবেন। ভবিষ্যতে অন্যান্য ব্যাংক যুক্ত হলে এ সেবার পরিসর আরও বিস্তৃত হবে।

গুগল পে ব্যবহার করে গ্রাহকরা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মাধ্যমে যেকোনো পয়েন্ট অব সেল (POS) টার্মিনালে ট্যাপ করে দ্রুত, নিরাপদ ও কার্ডবিহীন লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন। এর ফলে প্লাস্টিক কার্ড বহনের প্রয়োজন থাকবে না।

ব্যবহার পদ্ধতি ও নিরাপত্তা

সেবাটি ব্যবহারের জন্য গ্রাহকের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল পে অ্যাপ ইনস্টল করে সিটি ব্যাংকের কার্ড যুক্ত করতে হবে। এরপর রেস্টুরেন্ট, দোকান বা অন্য যেকোনো পিওএস টার্মিনালে ফোনটি ট্যাপ করলেই পেমেন্ট সম্পন্ন হবে।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুগল পে ব্যবহার করছে ‘টোকেনাইজেশন’ প্রযুক্তি, যা ব্যবহারকারীর আসল কার্ড নম্বর গোপন রাখে এবং পরিবর্তে একটি ভার্চুয়াল নম্বর ব্যবহার করে লেনদেন সম্পন্ন করে। এতে করে গ্রাহকের আর্থিক তথ্য আরও সুরক্ষিত থাকে। গুগল পে লেনদেনে কোনো অতিরিক্ত ফি নেয় না।

বাংলাদেশে ডিজিটাল লেনদেনের নতুন ধারা

বিশ্বমানের এই পেমেন্ট সেবা চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নগরকেন্দ্রিক লেনদেনের বাইরেও ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি দেশের বৃহত্তর অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক সেবায় এই সংযোজন বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট ও আধুনিক অর্থনৈতিক কাঠামোর দিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর