পাটওয়ারী বলেছেন, বিএনপি বর্তমানে এমন এক পথ অনুসরণ করছে, যা জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী।
বুধবার (২১ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “চুপ্পুর অপসারণ কিংবা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-যেকোনো জনগণের স্বার্থে নেওয়া উদ্যোগে বিএনপি বা তো বিরোধিতা করেছে, নয়তো নীরব থেকেছে। তারা বারবার পুরোনো রাজনৈতিক কাঠামো এবং শাসকগোষ্ঠীর সুবিধা সংরক্ষণে মনোযোগী থেকেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির ক্ষেত্রেও বিএনপির অবস্থান ছিল অস্পষ্ট। জনগণের স্বার্থে কোনও আন্দোলনে তাদের দৃশ্যমান উপস্থিতি দেখা যায়নি। বরং তারা রাজপথে সক্রিয় হয় কেবলমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে।”
বিএনপির নেতৃত্বের সমালোচনা করে এনসিপির এই নেতা বলেন, “ইশরাক হোসেনকে কেন্দ্র করে বিএনপির সাম্প্রতিক আচরণ আবারও দেখিয়েছে, দলটি শুধুমাত্র নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আগ্রহী। তরুণ নেতাদের মূল্যায়নের পরিবর্তে একটি সাধারণ মেয়র পদের জন্যও তাদের অপেক্ষায় থাকতে হয়।”
তিনি দাবি করেন, গত ১৬ বছরে বিএনপির নেতৃত্ব ও কৌশলের ব্যর্থতার কারণে দলীয় কর্মীসহ সাধারণ জনগণ ফ্যাসিবাদী দমননীতির শিকার হয়েছেন। “আজকের জুলাই অভ্যুত্থানকেও তারা দেখছে শুধুমাত্র একটি ক্ষমতা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া হিসেবে—জাতীয় রূপান্তরের আন্দোলন হিসেবে নয়,” বলেন তিনি।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে নাসীরুদ্দীন আরও বলেন, “ঢাকার নাগরিকদের অবৈধ নির্বাচনের বৈধতা দিতে বাধ্য করা এবং একটি মেয়র পদ নিয়ে নাটক তৈরি করা জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বেমানান। তাদের আচরণ অতীতের মতোই, যেখানে তারা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতার লক্ষ্যে পুরোনো কাঠামোতে ফিরে যেতে চায়।”
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, একটি পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছে, তা যদি আরেকটি রাজনৈতিক মাফিয়াতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা দেখে, তবে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে উঠবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: