সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কীভাবে বিমানবন্দর পার হয়ে বিদেশ গমন করলেন এবং এ ঘটনায় কারও কোনো গাফিলতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সরকার তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে। অন্য দুই সদস্য হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন ও শ্রম ও কর্মসংস্থানবিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
গত বুধবার রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে দেশত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তার এই বিদেশযাত্রা জনমনে বিস্তর আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি, ঢাকা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন শাখায় কর্মরত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জে আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা—একজন উপপরিদর্শক এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের একজন সহকারী উপপরিদর্শককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ ঘটনায় এরই মধ্যে পুলিশ একটি আলাদা তদন্ত কমিটি করেছে। এবার সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চপর্যায়ের এই তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হলো। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটি তিনটি মূল বিষয় বিশ্লেষণ করবে:
কমিটি প্রয়োজনে যে কোনো দলিল, যন্ত্রপাতি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী সহযোগিতা করতে হবে।
কমিটি চাইলে অতিরিক্ত সদস্যও যুক্ত (কো-অপ্ট) করতে পারবে। সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
এসআর
মন্তব্য করুন: