[email protected] বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
১৬ বৈশাখ ১৪৩২

"আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য" — প্রধান উপদেষ্টা


প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ৮:৪৫ পিএম
আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ৯:২২ পিএম

ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “নানা মত, ধর্ম ও সংস্কৃতির ভিন্নতার মাঝেও আমরা সবাই একটি বৃহৎ পরিবারের অংশ।”

রোববার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে ‘সম্প্রীতি ভবন’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পহেলা বৈশাখকে সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, “আগামীকাল পহেলা বৈশাখ—এটি আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক উজ্জ্বল নিদর্শন। সবাই তাদের নিজস্ব রীতি অনুসারে এই উৎসব উদযাপন করবেন এবং এতে সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেবেন।”

তিনি বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি অনন্য প্রতীক। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটি ধর্মীয় গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

বৌদ্ধ বিহারটির ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “গৌতম বুদ্ধের অহিংসা, শান্তি ও সাম্যের বাণী শ্রদ্ধার সঙ্গে অনুসরণ করে এই বিহার ধর্মীয়, সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। ‘সম্প্রীতি ভবন’ বাংলাদেশের মানবতা ও সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও গৌরবময় ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরও বলেন, “অতীতে এ অঞ্চলের বৌদ্ধ বিহারগুলো শুধু ধর্মীয় শিক্ষা নয়, জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডেরও কেন্দ্র ছিল। এখান থেকে জ্ঞান অন্বেষণ করতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিক্ষু ও শিক্ষার্থীরা আসতেন। মহামানব গৌতম বুদ্ধ শান্তি ও সাম্যের বাণী বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।”

বাংলার বৌদ্ধ পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্করের অবদান স্মরণ করে তিনি বলেন, “অতীশ দীপঙ্কর বুদ্ধের বাণী বহন করে চীনের তিব্বতে পৌঁছেছিলেন এবং এখনো তাকে সেখানে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তার মতো মনীষীদের ঐতিহ্য আমাদের গর্বের অংশ।”

ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের স্থাপনা ও পরিবেশ দেখে অভিভূত হয়ে ড. ইউনূস বলেন, “এটি শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। নতুন প্রজন্মের যেন এখানে এসে জানার সুযোগ থাকে—সে ব্যবস্থাও থাকা উচিত।”

তিনি ‘সম্প্রীতি ভবন’ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আপনারা যেন এমন এক স্থাপনা উপহার দেন, যা আগামী প্রজন্মের কাছে গৌরবের স্মারক হয়ে থাকবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর