নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে আরোপিত ভ্যাট পুনর্বিবেচনা করছে সরকার।
এ তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, “ওষুধ, পোশাকসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে আরোপিত বাড়তি ভ্যাট পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বাজারে পণ্যের দামে এর প্রভাব মূল্যায়ন করা হচ্ছে।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “দামের ওঠানামা পুরোপুরি ভ্যাটের কারণে নয়। এর পেছনে ম্যানিপুলেশন ও সাপ্লাই চেইনের সমস্যাও রয়েছে। তবে ভ্যাট কমানোর উদ্যোগ পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্তিদায়ক করবে।”
এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।
ভ্যাট ও সম্পূরক কর বাতিলের দাবিতে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন ও বিক্ষোভের পর এনবিআর মূসক আইন-বিধির দ্বিতীয় সচিব ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বদিউজ্জামান এ ঘোষণা দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওষুধ ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) খাতেও ভ্যাটের হার কমতে পারে। পূর্বের ভ্যাট হারে ফিরে গেলে এসব খাতে পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
৯ জানুয়ারি শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর। এরপর থেকেই ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, ডিসিসিআইসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সরকারের কাছে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
অর্থ উপদেষ্টার এ ঘোষণাকে ব্যবসায়ী মহল ইতিবাচকভাবে দেখছে। ভ্যাট পর্যালোচনার মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল করা এবং ভোক্তাদের আর্থিক চাপ কিছুটা কমানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: