শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকার পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চলমান ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল দর্শনার্থীদের ঢল।
শীতের সকালে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলাপ্রাঙ্গণ ভরে যায়। বিকেল ৫টায় মেলা পুরোপুরি লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
মেলার স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিশেষ ছাড় ও মূল্যছাড়ের কারণে ক্রেতাদের মধ্যে ছিল কেনাকাটার আগ্রহ।
মেলায় যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেডের ম্যানেজার রাজিব সাহা বলেন, "আমাদের রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনার, মোটরসাইকেল ও নতুন মডেলের টেলিভিশনসহ সব পণ্যের ওপর বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি আমাদের পণ্য ক্রেতাদের আস্থার প্রতীক।
খিলগাঁও থেকে আসা আমেরিকা প্রবাসী ফারুক আহম্মেদ বলেন, "পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মেলা উপভোগ করছি। খোলামেলা পরিবেশে আয়োজিত মেলা দেখে সবাই খুশি।"
গাজীপুর থেকে আসা গৃহবধূ নারগিস আক্তার বলেন, "কয়েক দিন ধরে মেয়েটি মেলায় আসতে চাইছিল। শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে এসে মেলার পরিবেশে আনন্দ পাচ্ছি।"
তবে যানজটের কারণে ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন কুমিল্লা থেকে আসা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, "ভুলতা থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত যানজট ছিল। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নতি প্রয়োজন।"
দিল্লি অ্যালুমিনিয়ামের বিক্রয় প্রতিনিধি রাকেশ চন্দ্র সরকার বলেন, "দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। আশা করছি, বিক্রিও ধীরে ধীরে বাড়বে।"
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব বিবেক সরকার বলেন, "পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য মেলায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি সন্তোষজনক। প্রথম ছুটির দিনেই ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের এমন সাড়া পেয়ে আমরা খুশি।
মেলায় টেক্সটাইল, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, প্রসাধনী, কার্পেটসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পণ্য স্থান পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল শাড়ি, থ্রি-পিস, ইমিটেশনের গয়না, ইলেকট্রনিক পণ্য এবং গৃহস্থালি সামগ্রীর স্টলে।
প্রবেশদ্বারে অনলাইনে টিকিট কেনার ব্যবস্থা থাকায় দর্শনার্থীদের জন্য মেলায় প্রবেশ ছিল সহজ ও চাপমুক্ত। মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য তিনটি সিটিং জোন এবং ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের বুথ রয়েছে।
প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের উপস্থিতিতে মুখরিত ছিল বাণিজ্যমেলা।
মেলা আয়োজক, বিক্রেতা এবং ক্রেতা-দর্শনার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আগামী দিনগুলোতেও মেলার এমন প্রাণবন্ত পরিবেশ বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: