[email protected] সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

স্বায়ত্তশাসন পেল সুপ্রিম কোর্ট, গঠিত হচ্ছে বাণিজ্যিক আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ৮:২১ পিএম

সংগৃহীত ছবি

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ কার্যকরের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো পূর্ণ প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বায়ত্তশাসন লাভ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

দীর্ঘদিনের দ্বৈত প্রশাসনিক জটিলতা দূর হওয়ায় এখন থেকে বিচার বিভাগ নিজস্বভাবে পদসৃজন, বাজেট বরাদ্দ, প্রশিক্ষণ উন্নয়ন ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারবে—যা বিচার সংস্কারকে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই ধারায় এগিয়ে নেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

শনিবার চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু বে-ভিউ হোটেলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘অপারেশনালাইজিং কমার্শিয়াল কোর্ট’ সেমিনারে প্রধান বিচারপতি বলেন, গত দেড় বছরে বিচারব্যবস্থায় যে কাঠামোগত পরিবর্তন এসেছে, তা দেশের বিচারিক ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।

তিনি জানান, দেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এই আদালত গঠনের ফলে বাণিজ্যিক বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হবে এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ দৃঢ় হবে।

সেমিনারের দ্বিতীয় সেশনে ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অর্ডিনেন্স ২০২৫’ নিয়ে আলোচনায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মারুফ আল্লাম জানান, নতুন আইনে মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তর করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশসহ সব বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ কমিশন স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে পারবে—যা পূর্ববর্তী আইনে ছিল না।

মানবাধিকার কমিশন অর্ডিনেন্স প্রণয়নকারী ব্যারিস্টার তানিম হোসাইন শাওন বলেন, নতুন আইনে ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক অনুসন্ধান এবং ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার বিধান রাখা হয়েছে।

পাশাপাশি আর্থিক জরিমানা এবং অনুমতি ছাড়াই প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের ক্ষমতাও যোগ হয়েছে।

ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি রোমানা সোয়েভার ও সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক মানবাধিকার ও বিচারব্যবস্থার চলমান সংস্কারকে সময়োপযোগী ও দেশের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন।


এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর