[email protected] মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
২ পৌষ ১৪৩২

তলবের ১০ মিনিটেই হাজির জেডআই খান পান্না, চাইলেন নিঃশর্ত ক্ষমা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১:৫৬ পিএম

র‌্যাবের টিএফআই সেলে বিরোধী রাজনৈতিক মতাবলম্বীদের গুম ও

নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়েছে। শুনানির সময় রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী জেডআই খান পান্না উপস্থিত না হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে দ্রুত হাজির হতে নির্দেশ দেয়।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর তিন সদস্যের বেঞ্চ—যার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার—প্রসিকিউশনের বক্তব্য শোনা শুরু করেন। প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম যুক্তি তুলে ধরার সময়, ট্রাইব্যুনাল পান্নাকে ফোন করে অবিলম্বে উপস্থিত হতে বলেন। মাত্র দশ মিনিটের মধ্যেই তিনি হুইলচেয়ারে করে সহকর্মী আইনজীবীদের সঙ্গে আদালতে পৌঁছান।

পান্না উপস্থিত হওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান এবং কেন তিনি হাজির হননি তা জানতে চান। আদালত মনে করিয়ে দেয়—তিনি স্বেচ্ছায় শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়ানোর আবেদন করেছিলেন এবং তার অনুপস্থিতিতে শুনানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

পান্না ব্যাখ্যা দেন যে তিনি অসুস্থ ছিলেন এবং শুনানিতে অংশ না নিতে রেজিস্ট্রার অফিসে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। তবে আদালত তার দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে করা মন্তব্যেরও ব্যাখ্যা চান, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে তার ক্লায়েন্ট আদালতকে মানেন না, ফলে তিনিও আদালতকে মানেন না। এর জবাবে পান্না বলেন, তিনি নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইছেন।

আদালত এরপর জানতে চায়, তিনি কি মামলাটি লড়তে আগ্রহী কিনা। পান্না ‘না’ জানালে ট্রাইব্যুনাল তার স্থলাভিষিক্ত আইনজীবীর বিষয়ে মতামত চান। তিনি কোনো নাম প্রস্তাব না করায়, আদালত মো. আমির হোসেনকে নতুন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়। আমির হোসেন আগেও শেখ হাসিনার পক্ষে ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনা করেছিলেন।

গত ২৩ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেদিনই পান্না শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়ানোর আবেদন করেন এবং তাকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১০ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও নয়জন। এছাড়া পলাতক আসামিদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদসহ আরও কয়েকজন সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর